মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপাতভাবে ছবিটা দেখলে মনে হবে, কিছুই না। কিন্তু সাদামাটা একটা ছবি (Ambassador Car) বলে দিল অনেক কথা। টাইম মেশিনে চাপিয়ে বহু মানুষকে ফিরিয়ে নিয়ে গেল স্মৃতির সরণিতে। নস্টালজিয়া গ্রাস করল যে কতজনকে, তার বোধহয় হিসেব মেলা দুষ্কর।
কী সেই ছবি?
সোমবার, সপ্তাহের প্রথম কর্মব্যস্ত দিনে একটি ছবি ট্যুইট করেছেন নাগাল্যান্ডের মন্ত্রী তেমজেন ইমনা আলম। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, তিনি একটি ঝকঝকে সাদা অ্যাম্বাসাডরে (Ambassador Car) উঠতে যাচ্ছেন। গাড়ির জানালার কাচে রীতিমতো পর্দা লাগানো। ছবির ক্যাপশনে লেখা, "ইটস মানডে। লেট আস গেট রেডি ফর ওয়ার্ক।" এতটুকু ইংরেজিতে লেখা। তারপরে তিনি হিন্দিতে লিখেছেন, "মেরে পাশ ভি এক অ্যাম্বাসাডর হ্যায়।" দেখতে দেখতে ভিউ পৌঁছে যায় দু'লক্ষের কাছাকাছি। ভেসে আসতে থাকে একের পর এক কমেন্ট। প্রত্যেকেই তাঁদের স্মৃতির কথাই বারবার বলতে চেয়েছেন।
কেন এই আবেগ?
হিন্দুস্থান মোটরস-এর তৈরি অ্যাম্বাসাডর গাড়ি (Ambassador Car) এক সময় অভিজাত বলেই গণ্য করা হত। মন্ত্রী, আমলা থেকে শুরু করে সরকারি পদস্থ অফিসাররা চড়তেন দুধসাদা অ্যাম্বাসাডর। দু-চার বছর নয়, ১৯৫৮ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ভারতবর্ষ দাপিয়ে বেড়িয়েছে এই অ্যাম্বাসাডর। ভিতরে পর্যাপ্ত জায়গা এবং পুরু গদিওয়ালা সিট। সাধারণ মানুষের কাছেও এর কদর ছিল ব্যাপক। এর তো নামই হয়ে উঠেছিল ফ্যামিলি কার। কিন্তু কালের নিয়মে যা হয়, এক্ষেত্রেও সেটাই ঘটেছে। উন্নত এবং আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মেলাতে না পারায় বিদায় নিয়েছে এক সময়ের এলিট এই গাড়িটি।
ব্রিটেনের মরিশ অক্সফোর্ড-এর আদলের এটি হল দেশের মধ্যে তৈরি প্রথম গাড়ি। ফলে একে ঘিরে মানুষের আবেগ এবং উন্মাদনা ছিল লক্ষ্যণীয়। অনেকের কাছেই এটি এক সময় ছিল স্ট্যাটাস সিম্বল। কোনও রাজনৈতিক নেতা অ্যাম্বাসাডর চড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, এ দৃশ্য এখন কার্যত বিরল। তবে হ্যাঁ, এটি এখনও ব্যবহৃত হচ্ছে, কিন্তু যাত্রীবাহী গাড়ি হিসেবে। কিন্তু কতদিন? প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours