মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মধ্যে জীবন কাটিয়ে, পুজোর (Durga Puja) আনন্দ কী জিনিস, তা ভুলেই গিয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম ২ ব্লকের বিধানপল্লি গ্রামের বাসিন্দারা। পুজোর দিনগুলিতে যখন আপামর বাঙালি আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে,পুজোর ক'টা দিন ঘরে বসেই দিন কাটে গ্রামবাসীদের।
কেন এই অবস্থা এই গ্রামের? (Durga Puja)
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই গ্রামটিতে বসতি গড়ে উঠেছিল ১৯৪৯ সালে। এককালে ছোট নদীটি পারাপারের জন্য কাঠের সেতু ছিল একটি। কিন্তু, পরে তা ভেঙে যায়। কয়েক বছর আগে নতুন করে একটি কাঠের সাঁকো বানানো হয়েছিল। কিন্তু সেটিও ভেঙে গিয়েছে। এখন চাষের ক্ষেতের পাশ দিয়ে প্রায় দেড় কিলোমিটারের আল পথ ধরে হেঁটে গিয়েই তাঁদের রাস্তায় উঠতে হয়। মূলত যোগাযোগের কারণে কার্যত বিচ্ছিন্ন এই গ্রাম। গ্রামে ঢোকা ও বেরনোর জন্য একটি মূল রাস্তা আছে। কিন্তু, সেখানেও প্রায় দেড় কিলোমিটার জমির আল পথ পেরোতে হয়। এরপর একটা ছোট্ট নদী, যাকে স্থানীয় ভাষায় বলে কাঁদর। সেই ছোট নদী পেরিয়ে, তারপর বড় রাস্তা। নদী পারাপার করার ক্ষেত্রেও অনেক সমস্যা। অল্প কিছু ছোট ছোট ডিঙি আছে। সেগুলিও আবার নিজস্ব মালিকানাধীন। মালিকদের অনুরোধ করলে, নদী পার করে দেয়। যোগাযোগের এই সমস্যার কারণেই গ্রামে দুর্গাপুজো হয়ে ওঠে না। দুর্গা প্রতিমা নিয়ে গ্রামে ঢোকার ব্যবস্থা নেই। তাই গ্রামের ছোট থেকে বড় সকলেই বঞ্চিত পুজোর (Durga Puja) আনন্দ থেকে।
স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?
স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, পুজোর (Durga Puja) আনন্দ এই গ্রামে হয় না। প্রতিমা নিয়ে আসার মতো অবস্থা নেই। ফলে, গ্রামে কোনও পুজো হয় না। এত বছর কেটে গিয়েছে, যোগাযোগ ঠিক করার বিষয়ে কেউ উদ্যোগ নেয়নি। তাঁদের আমাদের গ্রামে আলাদা করে পুজোর আনন্দ নেই।
পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কী বললেন?
পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিকাশ বিশ্বাস বলেন, দ্রুত গ্রামে যাওয়ার রাস্তা তৈরি করে দেওয়া হবে। পাশাপাশি নদীর উপরে যে সাঁকোটি ছিল, সেটিও নতুন করে তৈরি করে দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours