মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বার্ধক্য ভাতা নিয়ে বড়সড় দুর্নীতি অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তৃণমূল পঞ্চায়েতকে হাত করে একসঙ্গে দুটি বার্ধক্য ভাতার ব্যবস্থা করেছিলেন এক তৃণমূল নেতা। হাতিয়ে ছিলেন অন্যের আবাস যোজনার বাড়িও। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কুলপি বিধানসভার বাবুরমহল গ্রাম পঞ্চায়েতের চাঁদপুর গ্রামে। এতদিন এই গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল ক্ষমতায় ছিল। এবার পঞ্চায়েতে ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি। আর তার পরই দুর্নীতি পর্দাফাঁস হয়েছে।
ঠিক কী অভিযোগ? (South 24 Parganas)
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কুলপি বিধানসভার বাবুরমহল গ্রাম পঞ্চায়েতের চাঁদপুর গ্রামে স্থানীয় তৃণমূল নেতার নাম বাসুদেব মাইতি। তাঁর দাদা বসুদেব মাইতি বিজেপি কর্মী। তৃণমূল নেতা নিজের নামে বার্ধক্য ভাতার ব্যবস্থা করেন। আর তাঁর দাদা বার্ধক্য ভাতার জন্য আবেদন করেন। কিন্তু, তাঁর নামে কোনও টাকা এলেও তিনি তা পেতেন না। সরাসরি সেই টাকা তৃণমূল নেতার অ্যাকাউন্টে ঢুকে যেত। বিজেপি কর্মী বসুদেব মাইতি বলেন, বহুবার এই বিষয়ে পঞ্চায়েতে আবেদন করেছি। কিন্তু, কোনও লাভ হয়নি। এমনকী তাঁর আরও অভিযোগ, আমার নামে আসা আবাস যোজনার বাড়িও হাতিয়ে নিয়ে তৃণমূল নেতা ভাই। তবে, এই বিষয়ে তৃণমূল নেতা বাসুদেব মাইতির সঙ্গে যোগাযোগ করতে গেলে তিনি কোনও কিছুই বলতে রাজি হননি। বিজেপি বোর্ড ক্ষমতায় এসে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে গিয়ে জানতে পারেন, তালিকায় নাম আলাদা হলেও অ্যাকাউন্ট নম্বর তৃণমূল নেতার ছিল। ফলে, বিজেপি কর্মী ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। কুলপির বিডিও সৌরভ গুপ্ত বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা
এই বিষয়ে কুলপি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা কুলপি ব্লকের শিক্ষার কর্মাধ্যক্ষ সুপ্রিয় হালদার বলেন, এই ধরনের কোনও অভিযোগ এখনও আমাদের কাছে এসে পৌঁছায়নি। তবে, ওই ব্যক্তি ব্লকে এসে যোগাযোগ করলে অবশ্যই তিনি তাঁর টাকা ফেরত পাবেন। বিজেপি নেতা বিকাশ মণ্ডল বলেন, ওই বৃদ্ধ আমাদের দলের কর্মী বলে তাঁর বার্ধক্য ভাতা পরিকল্পিতভাবে বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়া অন্য কোনও কিছুই কারণ নয়। আমাদের দাবি, বকেয়া সমস্ত টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করতে হবে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours