মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এটা রাহুলের প্রপিতামহ নেহরুর (Nehru) ভারত (India) নয়, যিনি ৩৭ হাজার ২৪২ কিলোমিটার হারিয়েছিলেন চিনের (China) কাছে। এই ভাষায়ই কংগ্রেস (Congress) নেতা রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) আক্রমণ শানালেন বিজেপির (BJP) মুখপাত্র রাজ্যবর্ধন রাঠোর। তাওয়াংয়ে ভারত-চিন সংঘাত নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই কেন্দ্রকে নিশানা করেছে বিরোধী দলগুলি। এ নিয়ে কেন্দ্রকে আক্রমণ করেছেন রাহুল গান্ধীও। তাঁর দাবি, চিন যখন যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে, তখনও কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও উদ্বেগ নেই। সরকার বিষয়টিতে গুরুত্বই দিচ্ছে না। রাহুলের এহেন মন্তব্যেরই পাল্টা দিল বিজেপি।
রাহুলকে নিশানা...
বর্তমানে ভারত জোড় যাত্রা কর্মসূচি পালন করছেন রাহুল গান্ধী। এদিন তাঁকেই নিশানা করেন বিজেপির মুখপাত্র রাজ্যবর্ধন রাঠোর। তিনি বলেন, রাহুল গান্ধী চিনের এতটাই কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছেন যে তিনি বুঝে যাচ্ছেন, চিন এবার কী করবে। রাহুলকে মুখের মতো জবাব দিতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর প্রসঙ্গ টানেন বিজেপির মুখপাত্র। ১৯৬২-র ভারত-চিন যুদ্ধের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ভারত জোড় যাত্রা চলাকালীন রাহুল গান্ধী দেশের নিরাপত্তা ও সীমান্ত নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্য করেছেন, যাতে দেশের সেনাবাহিনীর মনোবল ভেঙে যায়। এর পরেই তিনি বলেন, এটা রাহুলের প্রপিতামহ নেহরুর ভারত নয়, যিনি ৩৭ হাজার ২৪২ কিলোমিটার হারিয়েছিলেন চিনের কাছে। চিনের কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে কংগ্রেসের চুক্তি হয়েছে বলেও দাবি করেন রাঠোর। তিনি বলেন, সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বাধীন রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন চলে চিনের টাকায়। তার পরেই চিনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে কংগ্রেসের চুক্তির হয়েছে বলে মন্তব্য করেন বিজেপির (BJP) মুখপাত্র।
আরও পড়ুন: ২০২৪-লোকসভা নির্বাচনে রাজ্য থেকে অনেক বেশি আসন চান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
রাঠোর বলেন, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন একাধিকবার দখলদারির চেষ্টা করেছিল চিন। তিনি জানান, নরেন্দ্র মোদির আমলে সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে তিনগুণ। প্রসঙ্গত, অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকায় হাতাহাতি হয় চিনা ফৌজের সঙ্গে ভারতীয় সেনার। এই প্রসঙ্গেই রাহুল বলেছিলেন, লাদাখের কাছে আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে চিন। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার ঘুমিয়ে রয়েছে। এর পরেই রাহুলকে একহাত নেয় বিজেপি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours