মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুরের ছাত্র মৃত্যুর (JU Student Death) ঘটনায় যখন কর্তৃপক্ষের গাফিলতির অভিযোগ উঠছে, ঠিক তখনই তৃণমূল ছাত্র পরিষদ জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলল। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (JU Student Death) স্নেহমঞ্জু বসু শাসকদলের ঘনিষ্ঠ বলে সবাই জানেন। অন্যদিকে তিনি সমস্ত দায় চাপিয়েছেন ডিন অফ স্টুডেন্টস রজত রায়ের উপর। আবার রজত রায় লালবাজারে যে বয়ান দিয়েছেন, তাতে তিনি বলছেন, ‘‘ছাত্রদের বাধাতেই নাকি আইন কার্যকর করা যায় না।’’ রেজিস্ট্রার এবং ডিন মিলে সমস্ত দায় ছাত্রদের ওপরে চাপিয়েছেন। এমন অবস্থায় তৃণমূল কংগ্রেস কর্তৃপক্ষের দায় ঝেড়ে ফেলে তা রাজ্যপালের ওপরে চাপানোর প্রচেষ্টা করছেন। প্রসঙ্গত, গত ৯ অগাস্ট মৃত্যু হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া স্বপ্নদীপের। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে ১২ জনকে। যাদের সবাই যাদবপুরের প্রাক্তনী ও পড়ুয়া। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় তোলপাড় হয়েছে রাজ্য।
আরও পড়ুন: যাদবপুরে ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার আরও ৩
জনস্বার্থ মামলা তৃণমূলের
প্রসঙ্গত, বর্তমানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদ খালি রয়েছে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দাবি যে রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ পদাধিকারী। এবং উপাচার্যহীন বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর নাম জোড়া হোক। এমন দাবি নিয়ে মামলা দায়ের করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র সুদীপ রাহা। মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। আগামী সোমবার এই মামলার শুনানি হতে পারে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফে করা এই জনস্বার্থ মামলার (JU Student Death) আইনজীবী রয়েছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
সক্রিয় রাজ্যপাল
যদিও যাদবপুরের ছাত্র মৃত্যুর (JU Student Death) ঘটনায় রাজ্যপালকে অত্যন্ত সক্রিয় দেখা যাচ্ছে। তিনি নিজে বিশ্ববিদ্যালয়ে বারবার গিয়েছেন, সেখানকার পড়ুয়াদের সঙ্গে কথাও বলেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে রাজভবনের তলবও করা হয়েছে। বৈঠক করে দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হবে বলে রাজ্যপাল জানিয়েছেন।
আরও পড়ুুন: “২০৪৭ সালের মধ্যে প্রতিটি গ্রামে উন্নয়নের দীপ জ্বালাতে হবে”, বললেন প্রধানমন্ত্রী
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours