Suspend: গোষ্ঠী কোন্দলে জেরবার! ঘর সামলাতে প্রধানকে বহিষ্কার করল তৃণমূল, কোথায় দেখে নিন

সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগেই উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে পঞ্চায়েত প্রধানকে দল থেকে বহিষ্কার করা হল।কেন এই সিদ্ধান্ত তৃণমূল?
Suspend
Suspend

মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে উত্তর দিনাজপুরে গোষ্ঠী কোন্দলে জেরবার তৃণমূল। ইসলামপুরে তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের সঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর বিরোধ একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে। এমনিতেই ইসলামপুরে মাটিকুন্ডা এলাকায়  ক্ষমতার রাশ কার দখলে থাকবে তা নিয়ে দলেরই দুই নেতা শাহনওয়াজ আলম এবং মেহেবুব আলমের মধ্যে গন্ডগোল। মেহেবুব আলম মাটিকুন্ডা- ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। এলাকাবাসীদের দাবি, শাহনওয়াজ আলম বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর অনুগামী। আর মেহেবুব আলম তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালয়ের অনুগামী। ৮ মার্চ রাতে শাহনওয়াজের বাড়িতে প্রধান মেহেবুব আলম ও তাঁর লোকজনেরা  হামলা চালায় বলে অভিযোগ।চলে গুলি ও বোমা। বোমার আঘাতে মৃত্যু হয় শাহনওয়াজের ভাই সাকিব আকতারের।তিনি পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার। এই ঘটনার পর পরই মেহেবুব আলমকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তারপরও দলের একাংশে মধ্যে বিদ্রোহ থামছিল না। বিশেষ করে বিধায়ক অনুগামীরা মেহেবুবের গ্রেপ্তার হওয়ার ঘটনায় খুশি হননি। তাঁরা রীতিমতো ক্ষোভ ফুঁসছেন। বিধায়ক প্রকাশ্যে জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন। পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলের বেআব্রু চেহারা আরও বেশি করে প্রকট হচ্ছে। তাই, পরিস্থিতি সামাল দিতে তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল সাংবাদিক সম্মেলন করে দলের পঞ্চায়েত প্রধান মেহেবুব আলমকে দল থেকে বহিষ্কার (Suspend) করে দিলেন। একইসঙ্গে এই ঘটনায় জড়িত সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির তিনি দাবি জানালেন। মূলত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলের এই কোন্দল নতুন করে আর মাথাচাড়া না দেয় তারজন্য তড়িঘড়ি ওই প্রধানকে বহিষ্কার করা হল বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

তৃণমূলীদের কাছে বোমা, গুলি মজুত থাকা নিয়ে কী বললেন জেলা সভাপতি ? Suspend

ইসলামপুরে প্রকাশ্যে বোমাবাজি ও গুলি চালানোর ঘটনা ঘটল। একজন সিভিক ভলান্টিয়ারের মৃত্যু হল। সেই জের কাটতে না কাটতেই দুষ্কৃতীদের গুলিতে গুরুতর জখম হন চোপড়া ব্লকের ঘিরনিগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের যুগ্ম অঞ্চল সভাপতি জাকির হোসেন। ফলে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বারুদের স্তূপের মধ্যে রয়েছে এই জেলা। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বোমা, গুলি মজুত রয়েছে শাসক দলের কাছে। এই বিষয় নিয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, জেলায় সবাই তৃণমূল। তাই কোথাও কোনও গন্ডগোল হলে তৃণমূলের নাম উঠে আসছে। জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। অবিলম্বে জেলায় যারা অপরাধী রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বোমা, গুলি বাজেয়াপ্ত করবে। কারণ, যে বা যারা দোষী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। পুলিশ প্রশাসন সেটা করবে। আর দলের পক্ষ থেকে যেখানে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, সেটা নেওয়া হবে।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles