মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুরু হয়ে গিয়েছে ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন (Assembly election)। আজ, বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে ৬০ আসন বিশিষ্ট ত্রিপুরা বিধানসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিকেল ৪টে পর্যন্ত ভোট নেওয়া হবে। এই ভোটে ভাগ্য নির্ধারণ হবে ২৫৯ জন প্রার্থীর, তাঁদের মধ্যে ২০ জন মহিলা। এবার ভোট ময়দানে রয়েছে বিজেপি, তৃণমূল, বাম-কংগ্রেস জোট ও তিপরা মোথা। দীর্ঘ ২৫ বছরের বাম শাসনকে সরিয়ে ২০১৮ সালে এই রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি। সেই ক্ষমতা ধরে রাখতে আত্মবিশ্বাসী গেরুয়া শিবির।
কড়া নিরাপত্তা
ত্রিপুরা নির্বাচনকে, ২০২৪ লোকসভা ভোটের আগে সেমিফাইনাল হিসেবেই দেখছে বিজেপি। উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে ভোটার সংখ্যা প্রায় ২৮ লক্ষ। মোট বুথের সংখ্যা ৩ হাজার ৩৩৭। যার মধ্যে ১১০০ কেন্দ্রকে স্পর্শকাতর এবং ২৮টিকে অতি স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন৷ একদফাতেই ভোট হবে। সেহেতু ওই রাজ্যের প্রতিটি বুথে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করাতে তৎপর রয়েছে কমিশন। শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে মোতায়েন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ২৬১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে সে রাজ্যে। এর পাশাপাশি আরও ১৬টি রাজ্য থেকে পুলিশকর্মীও আনা হয়েছে। এছাড়াও বিশেষ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছে রাজ্যের সশস্ত্র বাহিনী।
আরও পড়ুন: ভারতেই রয়েছে চোখ জুড়ানো বহু মন্দির, দেখুন তারই কয়েকটি
বাম-বিজেপি লড়াই
ত্রিপুরার এবারের নির্বাচনে যে সকল প্রার্থীদের ভাগ্য নির্ধারণ হবে তাঁদের মধ্যে অন্যতম, মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা, উপমুখ্যমন্ত্রী যিষ্ণু দেববর্মন, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক, সিপিএম নেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী, কংগ্রেস নেতা সুদীপ রায় বর্মন। ত্রিপুরার ৬০ টি আসনের মধ্যে ৫৫টি-তেই প্রার্থী দিয়েছে গেরুয়া শিবির। পাঁচটি আসন ছেড়েছে জোটসঙ্গী আইপিএফটি-কে। অন্যদিকে, রাজ্যপাট ফিরে পেতে কোমর বেঁধে লড়াইয়ে নেমেছে সিপিএম’ও। তাই বাংলার পর ত্রিপুরাতেও এবার তাঁরা কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধেছে। জোটের তরফে সিপিএম ৪৩টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। কংগ্রেসের প্রার্থী রয়েছে ১৩টিতে এবং বাকি চারটি আসনে দাঁড়িয়েছে অন্যান্য বাম দলের প্রার্থীরা। দেশের এই অংশের আরও দুই রাজ্য মেঘালয় ও নাগাল্যান্ডে ২৭ ফেব্রুয়ারি বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। ভোট গণনা ২ মার্চ।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours