মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের শেষের দিকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন মার্কিন মুলুকে (US Presidential Election 2024)। নির্বাচনে মুখোমুখি হতে চলেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিস এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প (Trump vs Harris)। নির্বাচনী দৌড় থেকে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ছিটকে যাওয়ায় ডেমোক্র্যাটরা সর্বসম্মতিক্রমে বেছে নিয়েছেন হ্যারিসকে। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে গোহারা হারানোর শপথ নিয়েছে তিনি। সম্প্রতি এই দুই প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী যোগ দিয়েছিলেন বিতর্কসভায় (US Presidential Debate)। সেখানেই ট্রাম্পকে একের পর এক কটাক্ষ-বাণে বিদ্ধ করতে থাকেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী।
ট্রাম্পকে ধুয়ে দিলেন কমলা (Trump vs Harris)
বিতর্কসভায় প্রথম থেকেই ঝাঁঝালো ছিলেন কমলা। আগাগোড়াই তিনি চাঁদমারি করেছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পকে। বলেন, “যাঁরা ভাবছেন ট্রাম্প দেশবাসীর কথা ভাবছেন, তাঁরা সকলেই ভুল করছেন। বোকামো করবেন না। ট্রাম্পের সমস্ত ভাবনার পিছনের কোনও না কোনও স্বার্থ লুকিয়ে রয়েছে। নিজের লাভ ছাড়া কোনও কথাও ভাবেন না উনি।” ডেমোক্র্যাট প্রার্থী (Trump vs Harris) বলেন, “ট্রাম্প কেবলমাত্র ধনীদের জন্য অর্থনৈতিক সংস্কারের কথা বলছেন। সকলের মন ভোলাতে এসব কথা বলছেন উনি। আখেরে এতে লাভ হবে ধনীদেরই। গোটা দেশকে বেকারত্ব ও কর্মহীনতার দিকে ঠেলে দিয়েছিলেন উনি। তার মারাত্মক ফল ভোগ করেছে গোটা দেশ।” তিনি (US Presidential Debate) বলেন, “ট্রাম্প চিন ও অন্যান্য দেশ থেকে আসা পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়াতে চান। এটা আসলে মার্কিনদের ওপর বিক্রয় কর বসানো। এর ফলে পণ্যের মূল্য বেড়ে যাবে।”
প্রসঙ্গ গর্ভপাত
গর্ভপাত প্রসঙ্গে কমলা বলেন, “মহিলারা তাঁদের শরীর নিয়ে কী করবেন, কী তাঁদের করা উচিত, সরকার কিংবা ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Trump vs Harris) তা বলা উচিত নয়।” তাঁর দাবি, “ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গর্ভপাত নিষিদ্ধ বিলে সই করে দেবেন।” সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ করেন ট্রাম্প। বলেন, “আমি এমন কোনও নিষেধাজ্ঞায় সই করছি না, করার প্রয়োজনও নেই।”
আরও পড়ুন: “সাইবার নিরাপত্তা ছাড়া জাতীয় নিরাপত্তাও অসম্ভব”, বললেন শাহ
ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ প্রসঙ্গে কমলা বলেন, ইজরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। গত বছর ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে ঢুকে ১ হাজার ২০০ মানুষকে হত্যা করেছিল।” ডেমোক্র্যাট প্রার্থী (Trump vs Harris) বলেন, “অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ হওয়া দরকার। গাজায় সম্পূর্ণ যুদ্ধ বিরতি প্রয়োজন। সেই সঙ্গে যাদের বন্দি করে রাখা হয়েছে, তাদের মুক্তি দিতে হবে (US Presidential Debate)।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours