তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল
কৃমি, ক্ষীণদৃষ্টি কিংবা রক্তাল্পতা, যক্ষ্মা, ভিটামিনের অভাবের মতো স্বাস্থ্য সমস্যা। শৈশব থেকেই যত্ন নিলে সুস্থ নাগরিক গড়ে তোলা সম্ভব। এর জন্য স্কুল হেলথ প্রোগ্রামের নিদান দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। কিন্তু রাজ্যের সেই কাজে (Child Health) সদিচ্ছা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন!
কী পরামর্শ দিয়েছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রক (Child Health)?
ভারতে রক্তাল্পতা, ভিটমিনের অভাবের মতো স্বাস্থ্য সমস্যা বাড়ছে। যার জেরে পরবর্তী কালে নানান শারীরিক সমস্যায় ভোগান্তিও বাড়ছে। তাই শিশুকাল (Child Health) থেকেই স্বাস্থ্য সচেতনতা জরুরি। তাছাড়া শিশুরা কোন ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছে, সে বিষয়ে স্পষ্ট তথ্য থাকলে দ্রুত সরকারি পদক্ষেপ করা সহজ হবে। তাই এই নজরদারির জন্য রাজ্য, জেলা, ব্লক স্তরে কমিটি গড়ে ওঠা দরকার। স্কুল পড়ুয়াদের স্বাস্থ্য পরিদর্শন ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নানান সমস্যার সমাধানের পথ খুঁজবে এই কমিটি। সম্প্রতি এমনই পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। কৃমি, ভিটামিনের অভাব, রক্তাল্পতা, যক্ষ্মা সহ একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা চিহ্নিত করে, সেই সব সমস্যা্র সমাধান করাই কমিটির কাজ হবে।
বিতর্ক কোথায় (Child Health)?
কেন্দ্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরামর্শ মতো রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর কমিটি তৈরি করেছে। কিন্তু বিতর্ক থেকেই যাচ্ছে। কারণ, শিশু স্বাস্থ্যের (Child Health) জন্য তৈরি কমিটিতে নেই কোনও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ। প্রশ্ন উঠছে, শিশুরোগ চিকিৎসক ছাড়া, এই পুরো কর্মসূচি বাস্তবায়ন কীভাবে সম্ভব? চিকিৎসক ছাড়া, রোগ বিশ্লেষণ, কতখানি রোগের প্রকোপ হতে পারে, সে সম্পর্কে ধারণা তৈরি কিংবা কীভাবে সমাধান করা যায়, সেই আলোচনা কি বাস্তব সম্মত হতে পারে? চিকিৎসক ছাড়া স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে কীভাবে কাজ করা যাবে? সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে!
রাজ্যের তৈরি স্কুল হেলথ কমিটিতে কারা আছেন?
স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের তৈরি কমিটিতে আছেন আমলারা। যেমন, এই কমিটির রাজ্য স্তরে রয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। এছাড়াও রয়েছেন স্কুল শিক্ষা দফতরের সচিব, নারী ও শিশু বিকাশ দফতরের সচিব। মূলত সরকারের অধীনস্থ কর্মীদের দিয়েই কাজ চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। কমিটিতে কোনও শিশু-স্বাস্থ্য (Child Health) বিশেষজ্ঞের জায়গা নেই।
কী বলছে চিকিৎসক মহল?
রাজ্য সরকারের এরকম কমিটি তৈরি আসলে সদিচ্ছা নিয়েই প্রশ্ন তুলছে বলে মনে করছে চিকিৎসক মহল (Child Health)। তারা জানাচ্ছে, রাজ্য সরকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে বিজ্ঞাপনের কাজেই লাগাচ্ছে। বাস্তবে সাধারণ মানুষের উপকারে আসবে, এমন পরিকল্পনার অভাব রয়েছে। চিকিৎসক সংগঠন সার্ভিস ডক্টর্স ফোরাম-এর সম্পাদক সজল বিশ্বাস বলেন, "শিশুরোগ চিকিৎসক অবশ্যই এই কমিটিতে থাকা জরুরি। তা না হলে, বাস্তবে কোনও সমস্যার সমাধান করা যাবে না। আসলে, সরকার পছন্দের আমলা দিয়েই সব কিছু চালাতে চাইছে। তাতে সাধারণ মানুষের উপকার হবে না।" আরেক চিকিৎসক সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর্স ফোরাম-এর নেতা পূণ্যব্রত গুণ বলেন, "স্বাস্থ্য সম্পর্কে জ্ঞান না থাকলে কি এই কাজ সম্ভব? বাস্তবে চিকিৎসক ছাড়া এই ধরনের কমিটি কীভাবে কাজ করতে পারে, তা জানা নেই! তবে এখন তো অনেক কিছুই হচ্ছে! সবটাই সরকারের পছন্দ মতো চলছে! কিছুই নিয়ম মেনে হচ্ছে না।"
DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours