মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তি ইলন মাস্ক (Elon Musk) ট্যুইটারের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ব্যাপক হারে কর্মী ছাঁটাই শুরু করেছে মাইক্রো ব্লগিং সাইট সংস্থা ট্যুইটার। প্রায় ৫০% কর্মী ছাঁটাই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইলন মাস্ক। ইতিমধ্যেই অপসারণের চিঠি পেয়ে গিয়েছেন অনেক কর্মী। বাকিরাও 'এই চিঠি এল, এই চিঠি এল' এই ভয়ে মরে যাচ্ছেন। কিন্তু সবচেয়ে আতঙ্কে রয়েছেন H1B ভিসাধারীরা। কারণ তাঁদের চাকরি গেলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকতে পারার সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে আসবে। কারণ চাকরি চলে যাওয়ার পর এই ভিসাধারীদের ৬০ দিনের সময় দেওয়া হয়। এর মধ্যে চাকরি না পেলে সে দেশ ছাড়তে বাধ্য হবেন তাঁরা।
ট্যুইটারের ৭,৫০০ কর্মীর মধ্যে ৮%- ই H1B ভিসা নিয়ে রয়েছেন। অর্থাৎ ৬২৫-৬৭০ জন কর্মী। তথ্যপ্রযুক্তিতে পারদর্শিকতা আছে এমন বিদেশি নাগরিকরা H1B ভিসা নিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সেই দেশে থাকতে পারেন এবং চাকরি করতে পারেন। এই ভিসা মূলত যে কোম্পানিতে সেই ব্যক্তি চাকরি করছেন, সেই কোম্পানিই স্পনসর করে থাকে। মজার বিষয় হল, বহু বছর আগে ইলন মাস্কও একদিন এই ভিসা নিয়ে মার্কিন মুলুকে চাকরি করতে এসেছিলেন।
এখনও যদিও জানা যায়নি যে, কতজন বিদেশি নাগরিককে চাকরি থেকে অপসারণ করা হবে। এই বিশেষ ভিসায় চাকরি যাওয়ার পর সেই দেশে থাকার বাড়তি ৬০ দিন সময় দেওয়া হয়। এই সময়ের মধ্যে তাঁকে কোনও একটা চাকরি পেতে হবে, যাতে তিনি আবার সেই ভিসার স্পনসরশিপ পান, বা ৬০ দিন পরে সেই দেশ ছেড়ে দিতে হবে।
সম্প্রতি মাইক্রো ব্লগিং সাইট ট্যুইটার (Twitter) কিনেছেন ইলন মাস্ক (Elon Mask)। ট্যুইটার নিজের দায়িত্বে আসার পর থেকেই একের পর এক বড় বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন টেসলা কর্ণধার। এবার কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটছেন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী এই ব্যক্তি। কোম্পানি চালাতে ঠিক কত কর্মীর প্রয়োজন, সে বিষয়ে চলছে হিসেব নিকেষ। একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইলন মাস্ক প্রায় ৩,৭০০ কর্মীকে ছাঁটাই করতে চলেছেন। সেই সঙ্গে ট্যুইটারের কর্মীদের যে ওয়ার্ক ফ্রম হোম পলিসি চলছিল, তাও এবার শেষ হতে চলেছে। ট্য়ুইটারে যাঁরা চাকরি করেন তাঁদের এবার অফিসে এসে কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: তৃণমূলের দুর্নীতির সেই ট্র্যাডিশন, অপসারিত রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ভাইস চেয়্যারম্যান
শুধু তাই নয়। সংস্থার অর্থনীতির হাল ফেরাতে এবার কর্মীদের বেতন কমানোর রাস্তাতেও হাঁটতে পারেন ট্যুইটারের নয়া মালিক। বিশেষ করে সেলস, প্রোডাক্ট, ইঞ্জিনিয়ারিং, লিগাল, ট্রাস্ট এবং সেফটি, এই দফতরগুলি থেকে একাধিক কর্মীর বেতন কমানো হচ্ছে বলে খবর। সেখানকার বোর্ড অফ ডিরেক্টরটেও খুব শীগগির পরিবর্তন আনা হবে বলে জানা গিয়েছে।
+ There are no comments
Add yours