Jadavpur University: যাদবপুরে ইউজিসি-র প্রতিনিধিরা! রেজিস্ট্রারকে হুমকি চিঠিকাণ্ডে ধৃত ‘অধ্যাপক’ রানা রায়

রবিবার রাতে ভুবনেশ্বরের একটি হোটেল থেকে রানাকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ
Jadavpur_University
Jadavpur_University

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)-এর প্রতিনিধি দল। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবে। ইউজিসি-র প্রতিনিধিরা যেতে পারেন হস্টেলেও। সব পক্ষের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলার সম্ভাবনা রয়েছে ইউজিসি-র সদস্যদের। অন্যদিকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুকে হুমকি চিঠি পাঠানোর দায়ে ‘অধ্যাপক’ রানা রায়কে গ্রেফতার করল পুলিশ। অন্য একটি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার রাতে ভুবনেশ্বরের একটি হোটেল থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ।

যাদবপুর চার সদস্যের প্রতিনিধি দল

সোমবার সকালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছয় ইউজিসি-র চার সদস্যের প্রতিনিধি দল। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারে ইউজিসি। খতিয়ে দেখা হবে র‌্যাগিং সংক্রান্ত নিয়মকানুনও। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কয়েকটি রিপোর্টও চাইতে পারেন ইউজিসির প্রতিনিধিরা। যাদবপুরে প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউজিসি নির্ধারিত র‌্যাগিং-বিরোধী নির্দেশ মানা হয়নি বলে অভিযোগ। এ বিষয়ে এর আগেও কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছিল ইউজিসি। 

রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুকে হুমকি চিঠি

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুকে হুমকি চিঠি দেওয়ার ঘটনায় শনিবারই মামলা রুজু করেছিল পুলিশ। যাদবপুর থানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৬, ৫০৯ এবং ৩৪ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছিল রানার বিরুদ্ধে। চিঠিতে নিজের পরিচয়ে ‘অধ্যাপক’ লিখেছিলেন রানা। তার দু’দিনের মাথাতেই গ্রেফতার করা হল তাঁকে। যদিও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যে মামলায় রানাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তার সঙ্গে যাদবপুরের ঘটনার কোনও যোগ নেই। বেলগাছিয়ার এক মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হয়েছেন রানা।

আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ঘনাচ্ছে নিম্নচাপ, ভারী বৃষ্টির ভ্রুকুটি কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে

ধৃত রানা রায়

বেলগাছিয়ার বাসিন্দা এক মহিলা রানা রায়ের বিরুদ্ধে গত ২ সেপ্টেম্বর টালা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই মহিলা জানিয়েছেন, গত চার বছর ধরে রানা তাঁকে উত্ত্যক্ত করছেন। মাঝে মাঝে কুপ্রস্তাব দিয়ে তাঁকে চিঠিও পাঠানো হতো। বর্তমানে কয়েক বছর ধরে বেলগাছিয়ায় থাকলেও তিনি আসলে কোচবিহারের বাসিন্দা। রানার কুকীর্তির এখানেই শেষ নয়। এলাকার দোকানদার এবং বাজার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকাও ধার করেছিলেন। সেই টাকা ফেরত দেননি। টাকার সব মিলিয়ে প্রায় ৬২ হাজার।

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles