Gyanvapi mosque: কড়া নিরাপত্তায় ফের শুরু জ্ঞানবাপী মসজিদের ভিডিওগ্রাফি সমীক্ষার কাজ

মুঘল আমলে দখল হয়ে যায় হিন্দু মন্দির...
mos_f
mos_f

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুরু হল বারাণসীর (Varanasi) জ্ঞানবাপী মসজিদ কমপ্লেক্সে (Gyanvapi mosque) সমীক্ষার কাজ। শনিবার কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ফের শুরু হয়েছে ভিডিওগ্রাফির কাজ। আদালতের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে জ্ঞানবাপী মসজিদ কমিটি। ভিডিওগ্রাফি করতে আসা দলের লোকজনকে সহযোগিতা করার আশ্বাসও দিয়েছে তারা।

বারাণসীর একটি জমিতে পাশাপাশি রয়েছে জ্ঞানবাপী মসজিদ এবং কাশী বিশ্বনাথ মন্দির (Kashi Viswanath Temple) । মামলাকারীদের দাবি, জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে এক সময় শৃঙ্গার গৌরীর (Shringar Gauri) পুজো হত। হিন্দুদের কাছে এই দেবীপীঠ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মুঘল আমলে এই মন্দির দখল করে মসজিদ বানানো হয় বলে দাবি হিন্দুদের একটি গোষ্ঠীর।

বিবাদ নিষ্পত্তির জন্য জ্ঞানবাপী মসজিদে হিন্দুদের কোনও নিদর্শন রয়েছে কিনা, তা জানতে আদালত একজন কোর্ট কমিশনারকে (court commissioner) নিযুক্ত করে। তাঁর সঙ্গে থাকা ভিডিওগ্রাফার দাবি করেন, মসজিদের গায়ে অস্পষ্ট কয়েকটি স্বস্তিক চিহ্ন রয়েছে। এর পরেই কোর্ট কমিশনার অজয় কুমার মিশ্রকে সরানোর দাবি জানায় মসজিদ কমিটি। তাঁর বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলে মসজিদ কমিটি।

আরও পড়ুন : তাজমহল আসলে তেজো মহালয়া শিবমন্দির! জানেন কি এই বিতর্কের আসল কারণ?

ফি-বছর চৈত্র নবরাত্রিতে শৃঙ্গার গৌরীতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয় ভক্তদের। সেই যুক্তির ভিত্তিতেই ওই স্থানে মন্দির রয়েছে বলে আদালতে আবেদন করেছিলেন মামলাকারীরা। এই মামলার বিবাদেই আদালত নিয়োগ করেছিল কোর্ট কমিশনারকে।

কাশী বিশ্বনাথ মন্দির কমিটি ও জ্ঞানবাপী মসজিদ কমিটির মধ্যে অবশ্য কোনও বিরোধ নেই। মন্দিরের করিডর বানানোর জন্য প্রয়োজনীয় জমিও দিয়েছিল মসজিদ কমিটি। বর্তমানে এই মসজিদ পরিচালনা করে আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া কমিটি। এই কমিটিরই দাবি, কোর্ট নিযুক্ত কমিশনার পক্ষপাতিত্ব করছেন। তার জেরেই ভিডিওগ্রাফির কাজ করতে মসজিদ কমিটি বাধা দেয়। তাদের এ-ও যুক্তি, মসজিদ প্রাঙ্গণের ভিতরে ভিডিওগ্রাফি করার আদেশ অ্যাডভোকেট কমিশনারের নেই।

তবে আদালতের নির্দেশে এদিন ফের শুরু হয়েছে ভিডিওগ্রাফি সমীক্ষার কাজ। এই সমীক্ষাকে ঘিরে যাতে কোনও অশান্তি না হয়, সেজন্য সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নিয়ে হয় বৈঠক। বৈঠকে কমিশনের কাজ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সহযোগিতা করার জন্য তাঁদের কাছে আবেদন জানানো হয়। জেলাশাসক আয়োজিত ওই বৈঠকে হিন্দু এবং মুসলিম দু'পক্ষের আইনজীবীরাই উপস্থিত ছিলেন। তার আগের দিনই অবশ্য এক আদেশে জেলা আদালত বলেছে যে, ভিডিওগ্রাফির জন্য কমপ্লেক্সের নির্দিষ্ট এলাকায় ঢোকার জন্য চাবি পাওয়া না গেলে তালা ভাঙতে হবে।

 

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles