Bhai Phota 2022: বাংলার ঘরে ঘরে ভাইফোঁটা, উৎসবে শিল্পী থেকে রাজনীতিক

ভাইফোঁটা যেন বাঙালির নিজস্ব উৎসব। সবকিছুতেই বাঙালি মোড়ক। তবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ভাইফোঁটার বিভিন্ন নাম রয়েছে। বাঙালিরা যাকে বলেন ভাইফোঁটা, উত্তর মধ্য ভারতে সেই উৎসবই ভাইদুজ। পশ্চিম ভারতে, মহারাষ্ট্র গোয়া কর্ণাটকে একই উৎসবকে চেনে ভাইবিজ হিসেবে। নেপাল ও উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং পার্বত্য অঞ্চলে একেই বলে ভাইটিকা। নাম যাই হোক না কেন, উৎসবের মূল কারণ একটাই। ভাই বোনের মধ্যে চিরন্তন ভালবাসার সম্পর্ককে সামাজিক ভাবে উজ্জ্বল করা। 

ভাতৃদ্বিতীয়ার দিন দেশ জুড়ে ভাই বোনের এই মধুর সঙ্গত চলছে। বাংলাও ব্যতিক্রম নয়। রাজনীতিক থেকে শিল্পী। সাধারণ পরিবার থেকে অসাধারণ ভাই-বোনেরা সবাই মেতে উঠেছেন আজকের দিনটাকে নিজেদের মত করে সেলেব্রেট করতে।  

বাংলায় অঞ্চল ভেদে প্রতিপদেও ভাইফোঁটা হয়। বেশিরভাগ জায়গায় অবশ্য ভাইফোঁটা হয় দ্বিতীয়াতেও। কোথাও কোথাও আবার সামাজিক সংগঠনগুলো তাঁদের ক্ষমতা মত গণভাইফোঁটারও আয়োজন করছে। এই ভাবে সারাদিন। 

প্রতিপদেই ভাইফোঁটা সেরে ফেললেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। একজন দুজন নয় রীতিমতো আড়াইশো দলীয়কর্মীকে একসঙ্গে বসিয়ে ভাইফোঁটা দিলেন তিনি। চুঁচুড়াতে বিজেপির জেলাকার্যালয়ে এই ভাইফোঁটার আয়োজন করা হয়। ছিলেন হুগলি জেলার সভাপতি তুষার মজুমদার জেলার যুব নেতা সুরেশ সাঊ।

কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায়বিচার ও ক্ষমতায়ন দফতরের মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক তারাপীঠে পুজো দিয়েই চলে গেলেন রামপুরহাটে এক গণভাইফোঁটার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া সকলের কপালে এঁকে দিলেন কাজল-চন্দনের টিকা।

বাদ যাননি তাঁর দেহরক্ষীরাও। যারা সারা বছর সকাল বিকেল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সুরক্ষার স্বার্থে সদা সতর্ক থাকেন।

রামপুরহাটে অগ্নিবীর প্রকল্পে যোগদানে ইচ্ছুক প্রার্থীদের একটি প্রশিক্ষণ শিবিরেরও উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক।

প্রতি বছরের শিল্পী হৈমন্তী শুক্লার বাড়িতেও হল ভাইফোঁটার অনুষ্ঠান। মিষ্টি মুখ উপহারের আদানপ্রদান।