দ্রৌপদী মুর্মু বিজেপির রাষ্ট্রপতির পদপ্রার্থী
DROUPADI MURMU_BIOGRAPHY
--------------------------------------------------
শনিবার রাজ্যে প্রচারে আসছেন না, NDA-র প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে-র মর্মান্তিক মৃত্যুতে, একদিনের শোক দিবস পালন করবে দেশ। সেকারণে দ্রৌপদী মুর্মুর রাজ্য সফর বাতিল করা হয়েছে।
বিজেপির পক্ষ থেকে এক প্রেস বিবৃতিতে এ কথা জানিয়ে বলা হয়েছে, খুব শীঘ্রই রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর পরবর্তী সফর সূচী জানানো হবে।
বিবৃতিতে জানানো হয়েছেঃ
গ্রাফিক্স
"জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, শিনজো আবের প্রতি শ্রদ্ধার চিহ্ন প্রদর্শন করতে, ৯ জুলাই দেশে একদিনের জাতীয় শোক দিবস পালন করা হবে। অতএব, ৯ জুলাই, ২০২২ এনডিএ-র রাষ্ট্রপতি প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর সমস্ত অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে।"
গ্রাফিক্স
আগের সূচী অনুযায়ী, বিজেপির ৬৯জন বিধায়কের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক হওয়ার কথা ছিল রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর। রাজ্য বিধানসভার স্পিকারের সঙ্গে সৌজন্যমূলক সাক্ষাতের কথা ছিল রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও সাক্ষাতের সময় রাখা ছিল।
নির্বাচিত হলে দ্রৌপদী মুর্মু হবেন ভারতের প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতি এবং দ্বিতীয় মহিলা রাষ্ট্রপতি। ওড়িশা থেকে তিনিই প্রথমবারের জন্য হবেন রাইসিনা হিলসের বাসিন্দা। সাঁওতাল কন্যা দ্রৌপদী মুর্মুর রাজনৈতিক জীবনও চমকপ্রদ। ঘর সংসার কাউন্সিলর থেকে বিধায়ক মন্ত্রী রাজ্যপাল সমস্ত অভিজ্ঞতায় অভিজ্ঞ। প্রতিটা ধাপে চিনেছেন জীবনের পাঠ। এবার আসুন এক ঝলক দেখে নি' রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর জীবন। ইতিমধ্যেই অনেকেই জেনে গেছেন বিজেপি রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু সম্পর্কে। পরবর্তী সফরের আগে আরেকবার দেখে নেওয়া যাক কে এই দ্রৌপদী মুর্মু?
বাবাঃ প্রয়াত বিরিঞ্চি নারায়ণ টুডু
স্বামীঃ প্রয়াত শ্যামচরণ মুর্মু
সন্তানঃ কন্যা ইতিশ্রী মুর্মু
জামাইঃ গণেশচন্দ্র হেমব্রম
জন্মদিনঃ ২০জুন, ১৯৫৮
শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ স্নাতক ( রমাদেবী উইমেনস কলেজ, ভুবনেশ্বর)
রাজনৈতিক জীবন:
২০১৫ থেকে ২০২১ সালঃ ঝাড়খণ্ড রাজ্যের প্রথম পূর্ণ সময়ের রাজ্যপাল। ঝাড়খণ্ডের প্রথম মহিলা রাজ্যপাল।
২০১৩ থেকে ১০ এপ্রিল ২০১৫ সালঃ বিজেপির তপশিলী উপজাতি মোর্চা জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য
২০১৩ থেকে ১০ এপ্রিল ২০১৫ সালঃ দ্বিতীয়বারের জন্য বিজেপির ময়ুরভঞ্জ পশ্চিমের জেলা সভাপতি নির্বাচিত
২০১০ থেকে ২০১৩ সালঃ প্রথমবারের জন্য বিজেপির ময়ুরভঞ্জ পশ্চিমের জেলা সভাপতি নির্বাচিত
২০০৭ ওড়িশা বিধানসভার সেরা বিধায়ক নির্বাচিত ও নীলকন্ঠ পুরস্কারে সম্মানিত
২০০৭ থেকে ২০০৯ সালঃ বিজেপি তপশিলী মোর্চার ওড়িশা রাজ্যের সভাপতি
২০০৪ থেকে ২০০৯ সালঃ ওড়িশার রাইরংপুর বিধায়ক ক্ষেত্র থেকে দ্বিতীয়বার বিধায়ক নির্বাচিত
২০০০ থেকে ২০০৪ সালঃ ওড়িশার রাইরংপুর বিধায়ক ক্ষেত্র থেকে প্রথমবার বিধায়ক নির্বাচিত, প্রথমবারেই মন্ত্রী। পরিবহণ ও বাণিজ্য দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রী।
২০০২ থেকে ২০০৪ সালঃ মৎস্য ও পশুপালন দফতরের মন্ত্রী
১৯৯৭ সালঃ বিজেপির ওড়িশা রাজ্য তপশিলী মোর্চার সহ সভাপতি নির্বাচিত
১৯৯৭ সালঃ প্রথমবার কাউন্সিলর নির্বাচিত এবং ডেপুটি চেয়ারপার্সনের দায়িত্ব পালন
পেশাঃ
১৯৭৯ থেকে ১৯৮৩ সালঃ ওড়িশা সরকারের জুনিয়র অ্যাসিস্টেন্ট সেচ ও বিদ্যুৎ দফতরের কর্মী
১৯৯৪ থেকে ১৯৯৭ সালঃ সাম্মানিক শিক্ষিকা শ্রী অরবিন্দ এডুকেশন সেন্টার, রাইরংপুর