৫৩ বছরে স্বপ্নপূরণ, দুই মেয়ের সঙ্গে মাধ্যমিক পাশ করলেন মা
জীবন পাঠশালার পাট চুকিয়ে দিলেও, জীবনকে ফের পাঠশালায় নিয়ে এলেন শীলা দাস। বয়স তিপান্ন। দুই কন্যার মা। সবাই যখন ভেবেছিলেন পাকশালাতেই কেটে যাবে বাকি জীবন। তখন জীবনকে হাত ধরে নিয়ে এলেন পাঠশালায়। দুই কন্যার সঙ্গে বসলেন পরীক্ষা কেন্দ্রে। মেয়েরা যখন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা পাশা করলেন তখন শীলারানী দাস পাশ করলেন মাধ্যমিক। ৩৮ বছর আগে যে পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল তাঁর সেই পরীক্ষা দিলেন ৫৩ বছর বয়সে। সসম্মানে পাশও করলেন। মাঝে আরেকবার চেষ্টা করেছিলেন ১৯৯৪ সালে। ফর্ম ফিল-আপ করেও পরীক্ষা দেওয়া হয়নি। স্বামী মারা যাওয়ায়।
ত্রিপুরার নজরুল বিদ্যামন্দির থেকে পরীক্ষা দিয়েছিলেন শীলারানী দাস। তাঁর দুই কন্যা পরীক্ষা দিয়েছিলেন বাণী বিদ্যামন্দির থেকে। পাশ করেছেন তাঁরাও। মা-দুই মেয়ের ত্রিফলা সাফল্যে খুশি পরিবারের সক্কলে।
এখানেই হাল ছাড়তে রাজি নন ত্রিপুরার বড়দোয়ালির শীলা দাস। ইচ্ছে আছে উচ্চমাধ্যমিকের দরজা পেরনোর। সরকারি অফিসের ছোট কেরানি শীলা রানী দাস। ঘর-বার স্বামী সংসার সামলিয়েই ছুটেছিলেন স্বপ্ন সফল করতে। পেরেছেন। জীবনকে পাকশালা থেকে ফের পাঠশালায় নিয়ে আসতে।