WhatsApp_Image_2022-06-02_at_802.20_PM_(1)
জল্পনা চলছিল তাঁর কংগ্রেস ত্যাগের পরই। কবে যোগ দিচ্ছেন বিজেপিতে। অবশেষে বৃহষ্পতিবারই আনুষ্ঠানিকভাবে গেরুয়া শিবিরে এলেন একদা পাতিদার আন্দোলনের পোস্টার বয় হার্দিক প্যাটেল। আমদাবাদে নিজের বাড়িতে রীতিমতো পুজোআচ্চা করেই সকাল থেকে তৈরি হয়ে নিলেন। শুদ্ধ বস্ত্রেই চলল শুদ্ধতার পথে যাত্রা।
পুরোহিত ডেকে চলল মন্ত্রপাঠ।হল মা দুর্গার পুজো। পুজো হল গো-মাতার। তারপরই টুইট করে নিজেকে বিজেপির ছোট্ট সৈনিক বলে অভিহিত করেন হার্দিক। জানান, কাজ করতে চান প্রধানমন্ত্রীর অধীনে। জীবনের নয়া অধ্যায় শুরু করতে চান দেশের উন্নয়নে। রাজ্য তথা গুজরাটের উন্নয়নে। সর্বোপরি জনগণ তথা সমাজের স্বার্থে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশজুড়ে যেভাবে উন্নয়নের যজ্ঞ চলছে, সে কাজে নিজেকে সৈনিক হিসেবে সমর্পণ করতে চান বলেও জানান তিনি।
২০১৭ সালে গুজরাটে বিধানসভা নির্বাচনের আগে পাতিদার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন হার্দিক। তখন থেকেই উঠে আসেন চর্চার শিখরে। এরপর ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে যোগ দেন কংগ্রেসে। কিন্তু কয়েক বছর যেতে না যেতেই তাঁর মোহভঙ্গ হয়। বুঝতে পারেন কংগ্রেস নেতৃত্বের ফোঁপড়া অবস্থা। দিল্লির নেতৃত্বের বিরুদ্ধেই বিদ্রোহ ঘোষণা করেন।
এবছরের শেষেই গুজরাটে বিধানসভা ভোট। নির্বাচনে কংগ্রেসকে ধুয়ে মুছে সাফ করার ডাক দিয়েছেন পাতিদার নেতা। যেমন কংগ্রেসকে শূন্যে নামিয়ে আনার শপথ নিয়েছেন আরও একাধিক বিদ্রোহী নেতা। কিছুদিন আগেই কপিল সিব্বল কংগ্রেস ছেড়েছেন। দল থেকে ইস্তফা দিয়ে চিঠি দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের এক কংগ্রেস নেতা। ফলে আগামি নির্বাচনগুলির আগে বিজেপির ভিত যে রাজ্যে রাজ্যে আরও মজবুত হচ্ছে, আর দিকে দিকে অস্বস্তিতে পড়ছে কংগ্রেস, তা স্পষ্ট।