ফের ভারত-চিন সংঘাত, ৬০ বছরে কতটা বদল?
সেই অরুণাচল প্রদেশ। সেই তাওয়াং (Tawang) । ফের চিনা আগ্রাসন ঘিরে দু দেশের সংঘর্ষ (India China Clash)। তবে এবারে ছবি বদল। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ সংসদে জানিয়েছেন, চিনা সেনাকে আটকাতে সফল হয়েছে ভারতীয় জওয়ানরা। সংঘর্ষে কেউ মারা যায়নি। সেভাবে কারুর বড় আঘাতও লাগেনি। তবে জানা যাচ্ছে , দু পক্ষের সংঘর্ষে ২০ জন জওয়ান আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৬ জনকে ভর্তি করা হয়েছে গুয়াহাটির সেনা হাসপাতালে। চিনাদের তরফে আহতের সংখ্যাটা আরও বেশি। লাঠালাঠি করতে গিয়েই এই পরিস্থিতি। তবে বীরত্বের সঙ্গে ভারতীয় জওয়ানরা যে কায়দায় পিএলএকে রুখে দিয়েছে তা বাহবার যোগ্য। বিষয়টি কূটনৈতিক স্তরে চিনের কাছে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজনাথ। নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছে বেজিংও। তারাও বলছে, পরিস্থিতি স্থিতিশীল।
দু বছর আগেই ২০২০ সালে গলওয়ানে চিনা আগ্রাসন রুখে দিয়েছিল ভারত। তবে সেবারে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। উত্তেজনা দেখা দেয় সীমান্তে। দফায় দফায় বৈঠক চলে দু দেশের মধ্যে। বেশ কয়েকমাস ধরে চলে স্নায়ুযুদ্ধ। শেষপর্যন্ত পিছু হঠতে বাধ্য হয় চিনা সেনা। এবারে সেধরণের ঘটনা ঘটেনি। তবে বেজিংকে যে কঠিন বার্তা পাঠানো গেছে তা স্পষ্ট।
১৯৬২ থেকে ২০২২। বদলে গেছে অনেক কিছু। বিশ্ব মানচিত্রে উদয় ঘটেছে এক নতুন ভারতের। ৬০ বছর আগে কোণঠাসা হয়ে গিয়েছিল দিল্লি। সীমান্তে ভারতীয় সেনাদের পরাজয়ের পিছনে নেহরুর নীতিকে দায়ী করেছিলেন অনেকে। সেসময় ভুল ছিল সামরিক স্তরে। ভুল ছিল রাজনৈতিক স্তরেও। সেসময় সীমান্তে গোপনে রসদ ও সেনা মজুত করতে শুরু করেছিল চিন। তা টের পায়নি ভারত। তখন ১০ হাজার ফুটের বেশি উচ্চতায় কীভাবে লড়া যায়, তার কোনও প্রশিক্ষণও ছিল না ভারতীয় সেনার। ছিল না এখনকার মতো অত্যাধুনিক পোশাক আশাক। আর তারই ফল ভুগতে হয়েছিল ভারতীয় জওয়ানদের।
তবে আজ বদলে গেছে পরিস্থিতি। ৬০ বছর (60 years) আগে আজকের মতো আমেরিকার সঙ্গে সখ্যতা তৈরি হয়নি। এখন যৌথ মহড়া চলে ভারত-মার্কিন সেনার। চিনা সীমান্তের কাছেই চলে অনুশীলন। তা যে চিন ভালোভাবে দেখছে না তা তাদের হাবেভাবেই পরিষ্কার। আর সেকারণেই এই আগ্রাসনের চেষ্টা কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বার্তা গেছে বেজিংয়ে। তারাও এক পা এগনোর আগে দু বার ভাবছে। কারণ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিদেশ নীতির জন্য বিশ্বের বহু দেশই এখন ভারতের বন্ধু দেশ। করোনা কালে দিল্লি যেভাবে ভ্যাকসিন পাঠিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল, তাক কুর্নিশ করেছে গোটা দুনিয়া। ভারতের বিদেশ নীতিতে খুশি রাশিয়াও। তাই বর্তমানের ভারতেক চটিয়ে যে লাভ নেই, তা বুঝতে পারছে চিন। আর এটাই ষাট বছর পেরিয়ে এসে ভারতের প্রাপ্তি।
Tags:
India China border
tawang
tawang clash
india china tawang
india china clash in tawang
tawang arunachal pradesh
tawang sector
india china tawang fight
tawang news
tawang clash news
tawang clash video
india china tawang clash
china tawang border dispute
tawang fight video
tawang border clash
tawang border fight
tawan
tawang border dispute
tawang map
india china tawang border
tawang india china border
tawang video
tawang fight
indo china fight
india china clash
india china border clash
india china news
india china border news