দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে বিরোধীদের বৈঠক
আরও এক ফ্লপ বৈঠকের সাক্ষী রইল দিল্লি। সাক্ষী রইলেন মমতা। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজেপি বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ একজন প্রার্থীর নামও ঠিক করা গেল না বৈঠকে। রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর নিজের উদ্যোগে ডাকা বৈঠকে আসার জন্য বাইশটি রাজনৈতিক দলকে চিঠি দিয়েছিলেন। প্রথম বৈঠকেই মুখ ফেরাল ৫ রাজনৈতিক দল। আসব বলেও যোগ দিল না আম আদমি পার্টি, তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রিয় সমিতি, বিজু জনতা দল, শিরোমণি অকালি দল সহ ৫ রাজনৈতিক দল। বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল, বিরোধীদের পক্ষ থেকে একজন প্রার্থীর নাম ঠিক করা হবে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুরুতেই নিজস্ব স্টাইলে বিজেপি থেকে তৃণমূলে আসা যশোবন্ত সিনহার নাম হাওয়ায় ভাসিয়ে দেন। যশোবন্ত সিনহা বর্তমানে তৃনমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি। স্বাভাবিক কারণেই বৈঠকের আগেই নাম ভাসিয়ে দেওয়ার রাজনীতি প্রথমেই বাতিল করেন রাজনৈতিক দলগুলো। বৈঠকের মাঝে আরেক জনপ্রিয় তাস ফেলতে যান মমতা। নিজস্ব ভঙ্গিমায় বলে বসেন, বৈঠকে সবচেয়ে সিনিয়র রাজনীতিবিদ হিসেবে শরদ পাওয়ারকে বেছে নিতে পারি। এনসিপি চিফ শরদ পাওয়ার নিজেই সঙ্গে সঙ্গে তা বাতিল করেন। শরদ পাওয়ারের নাম সামনে এনে কংগ্রেসকে কোণঠাসা করতে চেয়েছিলেন মমতা। ফলে কংগ্রেসও এই বৈঠকে যোগ দিলেও ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী নয়। যেমন আশাবাদী নয়, সিপিআইএম, সিপিআই, ডিএমকে, আরজেডি, সমাজবাদী পার্টির মতো কট্টর বিজেপি বিরোধী দলগুলি। তাঁদের বক্তব্য বিজেপির বিরোধিতা নয়। বরং গোয়া ত্রিপুরায় বিজেপির হয়েই কাজ করছে মমতার তৃণমূল। যদিও এরা সকলেই মমতার ডাকে সাড়া দিয়ে প্রতিনিধি পাঠিয়েছিল বৈঠকে। দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে ডাকা বিজেপি বিরোধীদের সভায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিরোধীদের সর্বসম্মত প্রার্থী নয় ঠিক হল পরবর্তী বৈঠকের আরও একটি তারিখ। ফের দিল্লি থেকে বিনা লাড্ডু হাতেই ফিরতে হচ্ছে মমতাকে। দিল্লির দেওয়াল লিখন পড়তে পারছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা। আগামী ১৮ই জুলাই দেশে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হওয়ার কথা।