নেতাজি জয়ন্তিতে সামনে এল কোন তথ্য?
ভারতকে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন অনেকেই। কিন্তু ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামার সাহস দেখিয়েছিলেন একজনই। তিনি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। ২৩ জানুয়ারি এক সুরে নেতাজি বন্দনা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবতের। এদিন পরাক্রম দিবস হিসেবে আন্দামানের ২১টি দ্বীপের নাম ২১ জন পরমবীর চক্র প্রাপকের নামে নামাঙ্কিত করেন প্রধানমন্ত্রী। তুলে ধরেন নেতাজি সুভাষের জয়গাথা।
নেতাজির জন্মদিনে এদিন শহিদ মিনারে বক্তব্য রাখেন সঙ্ঘপ্রধান মোহন ভাগবত। সুভাষের অপূর্ণ স্বপ্ন পূরণ করাই একমাত্র লক্ষ্য বলে মন্তব্য করেন সংঘ প্রধান। বলেন, নেতাজির দৃষ্টিভঙ্গিকে বুঝতে হবে। বিশ্বে অবদান রাখতে পারবে, এমন ভারত তৈরি করাই ছিল সুভাষচন্দ্রের লক্ষ্য।
নেতাজি জন্মদিবস উপলক্ষে এদিন বিজেপি নেতারা সকাল থেকেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেন। রেড রোডে গিয়ে নেতাজির চরণে মাল্যদান করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শাসক দলকে আক্রমণ করে বলেন, রাজ্য সরকারের ১২টার পর ঘুম ভাঙে। আমরা সকাল সকালই শ্রদ্ধা জানাই। নেতাজির মূর্তিতে মাল্যদান করেন দিলীপ ঘোষও। তিনি মনে করিয়ে দেন, বিজেপি সরকারই নেতাজিকে যথাযোগ্য মর্যাদা দিয়েছে।
তবে নেতাজি জয়ন্তীতেও প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মতে, নাম কামানোর জন্যই অনেকে দ্বীপের নামকরণ করছেন। মমতার এই কটাক্ষ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ মানুষ। কারণ, নামকরণ করতে তিনি যে সিদ্ধহস্ত, সে কথা কি ভুলে গেছেন তিনি?