MAMATA_DRAUPADI
রাষ্ট্রপতি পদে এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর পাশে এবার দাঁড়ালেন মমতা। আজ রথযাত্রা উপলক্ষে ইসকনের অনুষ্ঠানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বিজেপি আগে তাঁকে প্রার্থীর নাম জানালে হয়তো তিনি দ্রৌপদী মুর্মুর পাশেই দাঁড়াতেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ট্রাইবাল আদিবাসি মহিলাদের তিনি সব সময়েই পছন্দ করেন। মমতা বলেন বৃহত্তর স্বার্থে বৃহত্তর সহমতের প্রার্থীকে তিনি সবসময়েই এগিয়ে রাখেন।
অথচ, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধীদের সহমতের প্রাথী বাছাই করতে তড়িঘড়ি উদ্যোগ মমতাই নিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে যে বিজেপি বা এনডিএ-র কোন শরিকের সঙ্গে রাষ্ট্রপতি প্রার্থী নিয়ে আলোচনা হয়েছে এই বিষয়ে আগে প্রকাশ্যে কিছুই জানাননি মমতা। অথচ বিজেপির পক্ষ থেকে বার বার বলা হয়েছে রাষ্ট্রপতি পদে সহমতের প্রার্থী খুঁজতে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই তাঁরা আলোচনা চালাচ্ছেন। মমতাই তড়িঘড়ি দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে বৈঠক ডাকেন। সেখানে কোন হোম ওয়ার্ক ছাড়াই উপস্থিত হয়ে নিজের পছন্দের একাধিক প্রার্থীর নাম বলেন এবং বৈঠকে উপস্থিত কেউই সেই নামে সহমত হতে পারেননি।
প্রথম বৈঠকে বাতিল হওয়া প্রথম নামটিকেই দ্বিতীয় বৈঠকে বেছে নেওয়া হয়। কারণ রাষ্ট্রপতি পদে লড়াই করার মত কোন উপযুক্ত প্রার্থী বিরোধী ১৭ দলের হাতে ছিল না। দ্বিতীয় বৈঠক ডেকেছিলেন শরদ পাওয়ার। মমতা সেই বৈঠকে যোগ দেননি। পাঠিয়েছিলেন প্রতিনিধি। অদ্ভুত ভাবে বামপন্থীরাও নিঃশব্দে মেনে নিল প্রাক্তন আমলা, একদা বিজেপির মন্ত্রী বর্তমানে তৃণমূলের সর্বভারতীয় নেতা যশোবন্ত সিনহাকে।
কিন্তু পরদিনই বিজেপিr চালে মাত বিরোধী শিবির। আদিবাসী মহিলা নেত্রী, ওড়িশার দুবারের মন্ত্রী, ঝাড়খন্ডের প্রাক্তন রাজ্যপাল দ্রৌপদী মুর্মুকে সামনে আনতেই ছন্নছাড়া বিরোধী শিবির। মমতার আজকের বক্তব্যেই পরিস্কার নিজের পছন্দের প্রার্থীকে নিয়ে কতটা হতাশা নিজের মধ্যে। দলে যে এর ছাপ পড়বে বলাই বাহুল্য। এমনকি পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য বিধানসভা থেকে প্রত্যাশার তুলনায় অনেক বেশি ভোট দ্রৌপদী মুর্মু পেলেও কিচ্ছু আশ্চর্য হওয়ার নেই। হুইপ না দিলে তৃণমূলের ভোট ভাঙছেই। হুইপ দিলেও ক্রশ ভোটিং এড়াতে পারবেন কিনা সেটাই চিন্তা তৃণমূল নেত্রীর।