অক্টোবরেও চালু থাকবে ২০০০ টাকার নোট!কী বলছে RBI?
বাজার থেকে ২ হাজার টাকার নোট (Rs 2000 note) তুলে নেওয়ার ঘোষণায় আপনি কি বিভ্রান্ত? নানা ধরণের গুজব রটায় চিন্তিত? তাহলে নিজের চিন্তা দূর করুন। চোখ দিন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (RBI) নোটিসে। সেখানে স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে,২ হাজার টাকার নোট ব্যাঙ্ক নোট হিসেবে চালু থাকবে। ২০১৬ সালে ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট যে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, তার সঙ্গে এবারের এই ঘোষণায় এখানেই বড় ফারাক। ২৩ মে থেকে এই নোট ব্যাঙ্কে গিয়ে বদল করা যাবে। প্রতিদিন একসঙ্গে দশটি ২ হাজার টাকার নোট ব্যাঙ্কে গিয়ে এক্সচেঞ্জ করতে পারেন। এর সময়সীমা ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। তবে যত খুশি টাকাই আপনি আপনার অ্যাকাউন্টে জমা দিতে পারেন। ২০০০ টাকার নোট অক্টোবর থেকে নিষিদ্ধ হয়ে যাবে, এমন কথা কোথাও বলা নেই বলে স্পষ্ট করে দিয়েছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস।
কিন্তু সরকার এই পথে হাঁটতে গেল কেন? এই প্রশ্ন মনে উঁকি দিতেই পারে। আসলে, বিশ্বের উন্নত দেশগুলির কেউই বড় নোট চালু রাখার পক্ষপাতি নয়। তার কারণ, এতে কালো বাজারির পথ সহজ হয়। নোট জাল করে সমান্তরাল অর্থনীতি চালানোর সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ২০১৬ সালে বাজার থেকে ৫০০ ও হাজার টাকার নোট তুলে নেওয়ার পর টাকার যোগান ঠিক রাখতে ছাপানো হয় ২ হাজার টাকার নোট। ২০১৭ সালের পর তা আর নতুন করে ছাপা হয়নি। ফলে পুরনো টাকা বেশিদিন চালু রাখাও সম্ভব নয়। ১৯৯৯ সালে বাজপেয়ী জমানায় যে ক্লিন নোট পলিসি চালু হয়েছিল, তারই অঙ্গ হিসেবে, বাজার থেকে ২০০০ টাকার নোট তুলে নিতেই হতো। কারণ নোট নোংরা হয়ে এমনিতেই অচল হয়ে যেত।
এর পাশাপাশি আসছে মুদ্রাস্ফীতি ও সুদ বৃদ্ধির জ্বালা। আমেরিকা থেকে ইউরোপ, গত কয়েক মাসে বারবার ইনটারেস্ট রেট বাড়িয়েছে। ধাক্কা খেয়েছে সেদেশের অর্থনীতি। আমেরিকার ফেডারেল ব্যাঙ্কের নীতিতে মুষড়ে পড়েছে মার্কিন শেয়ার বাজার। অন্যদিকে বিচক্ষণতার সঙ্গে তা সামাল দিয়েছে ভারত। সুদ বৃদ্ধি আটকে দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। নিয়ন্ত্রণে রেখেছে মুদ্রাস্ফীতির হার। বাজারে টাকার যোগান বাড়লেই মুদ্রাস্ফীতির সম্ভাবনা থাকে। কারণ মানুষের হাতে বেশি টাকা থাকলেই খরচ বাড়ে। চাহিদা বাড়ে পণ্যের। এই পরিস্থিতিতে ব্যাঙ্ক সুদের হার বাড়িয়ে তা নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। কিন্তু উল্টো দিকে ঋণে সুদের হার বাড়লে ব্যবসা ধাক্কা খায়। ফলে অর্থনীতির গতি কমে যায়। টাকা ছাপিয়ে অনেক সময় তা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। কিন্তু সেক্ষেত্রেও মুদ্রাস্ফিতির আশঙ্কা থেকে যায়। বাজার থেকে ২ হাজার টাকার নোট তুলে নিয়ে তাই এক মোক্ষম চাল দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। বাজার থেকে যে পরিমাণ ২০০০ টাকার নোট তুলে নেওয়া হবে, সেই সম পরিমাণ ১০০ ও ৫০০ টাকার নোট বাজারে আসবে। ফলে জাতীয় অর্থনীতিতে ভারসাম্য বজায় থাকবে। এক ঢিলে অনেক পাখি মারা যাবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
Tags:
RBI
Demonetisation
2000 Rupee Note
2000 Notes
2000 note ban
2000 rupee note ban
2000 note
RS 2000 note ban
2000 rs note
rs 2000 notes
rs 2000 note
2000 rs note ban
2000 rupees note
rs 2000 note ban news
rbi to withdraw rs 2000 currency note
rs 2000 notes ban
2000 rupees note ban
rs 2000 currency notes
2000 note ban news
2000 note ban date
rbi stops printing 2000 notes
2000 note ban latest news
2000 rs notes
rs 2000 note exchange
new 2000 notes
rbi on rs 2000 currency note
rbi defends rs 2000 notes
rs 2000 exchange