জি-২০ আয়োজন করে কী লাভ ভারতের?
১৩০ কোটির দেশ ভারত। গত কয়েক বছরে বিশ্ব অর্থনীতিতে দ্রুত উত্থান হয়েছে আমাদের। এখন পঞ্চম স্থানে ভারত। বৃহত্তম গণতন্ত্রের এই দেশই এখন কাণ্ডারী হতে চলেছে সারা বিশ্বের। শুরু হয়ে গেছে জি-২০র বৈঠক। সারা দেশজুড়ে আগামী নভেম্বর পর্যন্ত দুশোটি বৈঠক হবে। এতে যোগ দেবে বিশ্বের বহু দেশ। তার মধ্যে অবশ্যই থাকবে গ্রুপ অফ টোয়েন্টি গোষ্টী ভুক্ত দেশগুলি। ফলে বিশ্বের উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলির নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারবে ভারত। বিশ্ব জিডিপি-র প্রায় ৮৫ শতাংশ এই জি-২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির নিয়ন্ত্রণে। বিশ্ব বাণিজ্যের ৭৫ শতাংশই এদের কব্জায়। ফলে এই বৃহৎ কর্মযজ্ঞের শরিক হওয়াটাই বিশাল ব্যাপার। সেটাই এবার করে দেখাচ্ছে ভারত। ফোরামের সভাপতিত্ব করার সুবাদে ভারত এখন সারা বিশ্বের সমীহ আদায় করতে পারছে। বৈদেশিক সম্পর্কও উন্নততর হচ্ছে। যুগ যুগ ধরে যে বাণী প্রচার করেছে ভারত, সেই বসুধৈব কুটুম্বকম-ই এই জি-২০-র মূল মন্ত্র। এই ফোরামে ভারতের সঙ্গে যেমন আছে আমেরিকা-রাশিয়া-চিন, তেমনই আছে ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ,মেস্কিকো, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ফলে প্রধানমন্ত্রী ভারতকে যে বিশ্বগুরুতে পরিণত করার ডাক দিয়েছেন, তা বাস্তবায়িত করার এক পথ হল এই জি-২০র সভাপতিত্ব। আর জি-২০ আয়োজন করে এটাই লাভ ভারতের।