গণবিক্ষোভে উত্তাল শ্রীলঙ্কা, শান্তির আর্জি সেনাপ্রধানের
দুর্নীতি, দিশাহীনতা আর রাজনৈতিক অদূরদর্শিতা। এই ত্রিফলাতেই কি বিদ্ধ শ্রীলঙ্কা? কয়েক মাস ধরে সেখানে খাবার নেই। পানীয় জল নেই। জ্বালানি নেই। ওষুধ নেই। শুধু নেই, নেই আর নেই। আর তারই ফলে বিদ্রোহের পথে এই নেই রাজ্যের বাসিন্দারা।
রাষ্ট্রপতি থেকে প্রধানমন্ত্রী নিশানায় সবাই। প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংঘের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিল বিদ্রোহীরা। রাষ্ট্রপতির বাসভবন দখল করেও চলল উল্লাস। লক্ষ, লক্ষ মানুষ পথে নেমে জড়ো হল রাজাপক্ষের বাসভবনের সামনে। তারপর এক বাধভাঙা ঢেউ। দখল হয়ে গেল পুরো রাষ্ট্রপতি ভবন। ভিতরে ঢুকে অনেকেরই তখন লক্ষ্য রান্নাঘর। সেখানে থরে থরে সাজানো খাবার। পেটে ক্ষিধে নিয়ে যারা দিনের পর দিন অপেক্ষা করছিল, তারা দখল নিল রান্নাঘরের। শুধু রান্নাঘরেই নয়, সুইমিং পুলেও নেমে পড়ল আমজনতা। পরিস্থিতি আঁচ করে পালিয়ে বাঁচলেন রাষ্ট্রপতি। কিন্তু যা দৃষ্টান্ত রেখে গেলেন তিনি তা মোটেই সুখকর নয়। একের পর এক ট্রাঙ্ক বোঝাই সামগ্রী নিয়ে চলে গেলেন জাহাজে করে। এখনও তাঁর কোনও খোঁজ নেই। অনেকে বলছেন বিমানবন্দরের দিকে একের পর এক হাইটেক গাড়িও যেতে দেখেছেন তাঁরা। ফলে রাজাপক্ষে এখন কোথায়, তার কোনই ঠিকঠিকানা নেই।