মুখে অন্য বয়ান! গোয়েন্দা জিজ্ঞাসা এড়াতেই কি সুপ্রিম কোর্টে অভিষেক?
ভয় পাচ্ছেন তৃণমূলের নাম্বার টু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়? এড়াতে চাইছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার জিজ্ঞাসাবাদ? কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হলে কি সামনে আসতে পারের আরও অনেক তথ্য। থেমে যেতে পারে মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপোর মঞ্চের চিৎকার? ২৯ মার্চ, ২০২৩ শহীদ মিনার থেকে ঠিক কি বলেছিলেন তিনি আরেকবার শুনেনি
এতটাই যখন নিষ্কলুষ এবং সাহসী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, তাহলে বিচারপতি অমৃতা সিনহা রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ফের সুপ্রিম কোর্টে কেন? আইনজীবীরা বলছেন, বিচারপ্রার্থীর অধিকার আছে রায় পছন্দ না হলে উচ্চতর আদালতে যাওয়ার। ঠিক এই কাজটাই করেছিলেন, এর আগে ঐ একই মামলা নিয়ে। কি হয়েছিল তখন, ২৯মার্চ শহীদ মিনার থেকে অভিষেকের বক্তব্যের পরদিনই সাজানো স্ক্রিপ্টে অভিনয় করেছিলেন যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারন সম্পাদক পদে অভিষেকের নিজের রিক্রুট হুগলীর তৃনমুল নেতা কুন্তল ঘোষ। কি বলেছিলেন তিনি,
আমরা যারা তৃণমূল কংগ্রেস করি, তাঁরা সিনা টান করে দল করি। এই সব সিবিআই-ইডিকে আমরা ভয় পাই না। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা আমাকে চাপ দিচ্ছে অভিষেকের নাম বলানোর জন্য।
কুন্তল ঘোষ
৩০ মার্চ, ২০২৩
এই একদিন বলেই থামেননি। পরেরদিন তিনি জানিয়েছিলেন,আদালতে চিঠি দিয়ে বিচারপতিকেও একই কথা তিনি জানিয়েছেন
এরপরই আদালতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, এমন হলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রয়োজনে জেরা করতে পারে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সেই মন্তব্যকে ঘিরে শুরু হল জলঘোলা। সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করা হয় বিচারপতির মন্তব্যের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয় একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া বিচারপতি ইন্টারভিউ-এর অনুবাদ।
সুপ্রিম কোর্ট বিচারপ্রার্থীর দাবি মেনে, হাকিম বদল করলেও হুকুম নিয়ে কোন কথা বললেন না বরং জানালেন, বিচারব্যবস্থাকে সহযোগিতা করা নাগরিকের কর্তব্য। এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে বলা হল কলকাতা হাইকোর্টে। কলকাতা আদালতের বিচারপতি অমৃতা সিনহা বহাল রাখলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়। নির্দেশ দিলেন, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
গত শুক্রবার কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় অভিষেককে রক্ষাকবচ দেয়নি কলকাতা হাই কোর্ট। ওই দিন শুনানিতে অভিষেকের আইনজীবী হাই কোর্টকে আর্জি জানান
বিচারপতির পুরনো নির্দেশ পুনর্বিবেচনা করা হোক
অভিষেককে অন্তর্বর্তী রক্ষাকবচ দেওয়ারও হোক
এবং, এই সময়ের মধ্যে তদন্তকারী সংস্থা যাতে চরম পদক্ষেপ নিতে না পারে, তার জন্যও আবেদন করা হচ্ছে
করেন অভিষেকের আইনজীবী।
বিচারপতি অমৃতা সিন্হা এই প্রসঙ্গে বলেছিলেন,
“আদালতের দরজা ২৪ ঘণ্টা, ৭ দিন খোলা থাকবে। প্রয়োজন মনে করলে যখন খুশি আসবেন। কিন্তু কোনও রক্ষাকবচ নয়।’’
আর বৃহস্পতিবার সেই বিচারপতিই নির্দেশ দিলেন, ইডি, সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে অভিষেককে। একই সঙ্গে কুন্তল এবং অভিষেকের মামলা খারিজ করে দিয়ে আদালত দু’জনকেই ২৫ লক্ষ টাকা করে মোট ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। তার বিরুদ্ধেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ডের গলার স্বর কি কাঁপছে? ভয় পাচ্ছেন তৃণমূলের নব জোয়ারের নেতা। সেই কারণে আবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ আবারও কি ধাক্কা খেয়ে ফিরে আসবেন?
কিন্তু আজকের সময় বার বার বুঝিয়ে দিচ্ছে, কার্যত আতঙ্কে কাঁপছেন অভিষেক। কারণ নারদা সারদা টেট এস এস সি গরু কয়লা বালি সোনা সব প্রসঙ্গই তো আসবে জিজ্ঞাসাবাদে। ভয় পাচ্ছেন জিজ্ঞাসাবাদে ঢুকে যদি আর বার হতে না পারেন
Tags:
Madhyom
tmc
Supreme court
bangla news
Bengali news
Abhishek Banerjee
interrogation
abhishek banerjee news
abhishek banerjee today
abhishek banerjee news today
supreme court order
abhishek banerjee latest
abhishek banerjee live
abhishek banerjee update
abhishek banerjee news live
statement
difference of statement
differant statement
statement differant
appeal in supreme court
abhishek appeal in supreme court
abhishek supreme court
avoid interrogation
avoid