কেন ২০২৬-এর বিধানসভায় অভিষেকের লক্ষ্য ২৪০?
লক্ষ্য ২৪০।
২০২৬এর বিধানসভা নির্বাচনের লক্ষ্য ২৪০ জানিয়েছেন,মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
টার্গেট ঠিক করে দিয়েছেন নেতা। আগামী বিধানসভার নির্বাচনের। কিন্তু এত আগে কেন? এত তাড়া কিসের? এখনও সাড়ে তিনবছর বাকি বিধানসভা নির্বাচনের। তাঁর আগে তিন তিনটে আর্থিক বছর। সরকারের কাজ। শিল্প শিক্ষা চিকিৎসা সরকারি কর্মচারিদের ডিএ, চাকরি প্রার্থীদের দাবি দাওয়া। নতুন নিয়োগ। দুর্নীতির মামলা সামলাতে হবে তো। হাজারো কাজ সরকারের। রাজ্যের উন্নতির নয়া পরিকল্পনা সে সম্পর্কে একটি কথাও না। নেতা এখন তাকিয়ে আগামী বিধানসভার নির্বাচনের দিকে। কর্মীদের জানাচ্ছেন ২৪০টি আসন জিততে হবে দলকে।
প্রশ্ন হলঃ বিধানসভা ২০২৬-এ ২৪০ আসনের লক্ষ্যমাত্রা কেন?
চলুন দিন পনের পিছিয়ে যাওয়া যাক। ১৪ এপ্রিল। চৈত্র সংক্রান্তির দিন রাজ্যে এসেছিলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ঐ দিন বীরভূমে একটি সভা করেন তিনি। সেই সভা থেকে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের লক্ষ্যমাত্রা তৈরি করে দেন তিনি। কি বলেছিলেন অমিত শাহ?
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই বক্তব্য নিয়ে কড়া মনোভাব দেখান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। নবান্ন থেকে সরকারী সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দেন সংবিধানবিরোধী কথা বলেছেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মুখ্যমন্ত্রী ও দলনেত্রীর বিবৃতির পরই ঝাঁপিয়ে পড়লেন শাসক দলের ছোট থেকে বড় নেতারা। একসুরে সমালোচনায় মাতলেন। কেন রাজ্য থেকে ৩৫টি লোকসভার সিট চেয়েছেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী!
২০২৩-২০২৪ সালে দেশেজুড়ে বিভিন্ন রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। সংখ্যাটা নেহাত কম নয়। আঞ্চলিক ও জাতীয় রাজনৈতিক দলগুলি তারই প্রস্তুতি নিচ্ছে। কারণ ২৪ সালে সংসদীয় নির্বাচনের আগে সব দলই সংগঠন গুছিয়ে নিচ্ছে বা চেষ্টা করছে। চব্বিশ ঠিক করবে তৃতীয়বার মোদি সরকার হবে কিনা। সেই লক্ষ্যেই কর্মীদের বার্তা দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
কিন্তু প্রশ্ন হলঃ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হঠাৎ ২০২৬ সাল, তিন বছর পরের বিধানসভা নির্বাচনে ২৪০-এর লক্ষ্যমাত্রা দিলেন কেন? সামনেই তো লোকসভা নির্বাচন ছিল। সেই নির্বাচনের টার্গেট কত? বলেননি।
সদ্য জাতীয় দলের তকমা হারানো তৃণমূল কি বুঝে গেছে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের কোন আশা নেই! বিরোধী*
অঙ্কটা সহজ।
দলীয় কর্মী সভায় অমিত শাহ জানিয়েছিলেন লক্ষ্যঃ বাংলা থেকে ৩৫টা, লোকসভা আসন। একটা লোকসভা আসন পিছু ৭টি বিধানসভা সিট অর্থাৎ ৩৫ গুণ ৭ হয় ২৪৫!
তার মানে, বিধানসভাওয়ারি ২৪৫টা আসনে এগিয়ে থাকবে বিজেপি। কার্যত জন সমর্থনের প্রশ্নেও রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের থেকেও এগিয়ে যাবে বিজেপি। ফলে জন সমর্থন বাড়লে আন্দোলন বাড়বে ক্ষুব্ধ মানুষ গুমড়ে না থেকে রাস্তায় সরাসরি শাসক দল বিরোধী আন্দোলনে নামবে। তৃণমূল থাকবে না সরকারটা আপনা আপই পড়ে যাবে।
সেই কারণেই কি তড়িঘড়ি অভিষেকের তিন বছর পরের নির্বাচনের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে দেওয়া!
চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের কোন লক্ষ্য নেই অভিষেকের? অমিত শাহ লোকসভায় ৩৫-আসনের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়াতেই কি অভিষেকের ২৪০ গান? কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো তো ২৪৫-এর লক্ষ্যমাত্রাও দিতে পারতেন। তাহলে ঠিকঠাক চ্যালেঞ্জ ছোঁড়া যেত দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে। ২৪৫ না বলে ২৪০ কেন?
নিন্দুকেরা নানা কথা বলছেন। ২৪০-এর সঙ্গে সংখ্যার অদল বদলে ৪২০-র মিল আছে।
Tags:
Mamata Banerjee
Madhyom
tmc
bangla news
Bengali news
Abhishek Banerjee
TMC MP Abhishek Banerjee
assembly elections
abhishek banerjee news
abhishek banerjee tmc
abhishek banerjee news update
abhishek banerjee nobo jowar
assembly elections 2026
bengal assembly election 2026
west bengal assembly election 2026
bengal assembly election
target
target 2026
target 240 seat
240 seat target
2026 assembly target
assembly target 2026
240 target
target 240