বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠির সাংবাদিক বৈঠক
২১ মার্চের পর ১৪ই জুন। বগটুই ঘটনার পর মাঝে কেটে গেছে দীর্ঘ ৮৫ দিন। বীরভূম আছে বীরভূমেই। বোমা বারুদ আর অস্ত্রের ঝনঝনি। সোমবার প্রকাশ্য দিবালোকে মাড়গ্রাম থানার দোখলবাটিতে এক চাল ব্যবসায়ীকে গুলি ছোড়ে দুষ্কৃতিরা। কপাল জোরে বেচে যান তিনি। আর বিকেলে দুবরাজপুর থানার বোধগ্রামে উদ্ধার হল প্রায় ১৪ কেজি বোমার মশলা আর বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র। ধৃত শেখ মুজিবরঅকে জেরা করে কোথা থেকে এই আগ্নেয়াস্ত্র আর বোমার মশলা এল তার খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। ২৫ মার্চ বগটুই সফরে গিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বীরভূম থেকে অস্ত্র-বোমা উদ্ধার করতে। তারপর থেকে কার্যত নড়ে চড়ে বসে পুলিশ। মাড়গ্রাম দুবরাজপুরের নাম বারবার উঠে এসেছে বোমা বারুদ অস্ত্র উদ্ধারে। এছাড়াও আছে লোকপুর, নানুর, রামপুরহাট। এসব অঞ্চলে কান পাতলে শোনা যায় কিভাবে বোমা উদ্ধার করতে এখান কার পুলিশ ফোর্সকে তাল-নারকেল গাছে ওঠা অভ্যাস করতে হয়েছে। কারণ দুষ্কৃতিরা তখন গাছের টং-এ বেঁধে মজুত রাখত অস্ত্র বোমা বারুদ। ২০০১ সালের ২৭ শে জুলাই। নানুর থানা এলাকার সুচপুর কাণ্ড দিয়ে শুরু। বীরভুম জেলা তখন থেকেই অশান্ত। তখন থেকেই রাজনৈতিক নেতাদের পৃষ্ঠপোষকতায় ফুলে ফেঁপে উঠছে বোমা বন্দুক বারুদের কুটির শিল্প।