আরামবাগের আল পথ ধরে আল কায়েদার কাছে?
এর নাম কাজি আহসন উল্লাহ। একসময় থাকত হুগলির আরামবাগে। এখানের সামতা গ্রামেই ছোট থেকে বেড়ে ওঠা। পড়াশোনা। তবে এই আহসনই এখন মাথা ব্যথার কারণ পুলিশের। জঙ্গি সংগঠন আলকায়েদার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে বুধবার রাতেই তাকে গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। উত্তর ২৪ পরগনার খড়িবাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ নথি। ঘরের ছেলের গ্রেফতারির খবরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে আরামবাগ জুড়ে। কবে, কীভাবে সে জঙ্গি হয়ে উঠল, তা বুঝে উঠতে পারছে না পরিজন-প্রতিবেশীরা। বুঝে উঠতে পারছেন না ঘরে একলা থাকা তাঁর মা-ও।
বিয়ের পর থেকেই বাড়িছাড়া আহসান। আপাতত থাকত হাওড়ার বাঁকড়ায়। তবে মাঝে মাঝেই আসতে আরামবাগ। বাবা কাজি সফিউল্লাহ কর্মসূত্রে থাকেন বর্ধমানে। আহসান হাসানের গ্রেফতারের খবর আসতেই আরামবাগের
মাদ্রাসায় শিক্ষকতা তারপর মসজিদে ইমামগিরি। এসবের মধ্যেই পুরাতন গাড়ি কিনে বিক্রির ব্যবসা। গ্রামে ছোট থেকে বড় হওয়া এই ছেলেই কীভাবে জঙ্গিদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে গেল, তা ভেবে কুল কিনারা পাচ্ছে না সামসা গ্রাম। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, শুধু আহসানরাই নয়, আরও সতেরো আঠেরো জন এই কাজে যুক্ত। এখন তারা কারা, সেই খোঁজ চলছে। আর আহসানের মা পথের দিকে তাকিয়ে বোঝার চেষ্টা করছেন, ঘরের ছেলেটা এই রাস্তা দিয়েই কীভাবে আল কায়েদার কাছে পৌঁছে গেল!