দলনেত্রীর নির্দেশে উৎসাহিত তৃণমূল বাহিনী
দলনেত্রী মমতা বলেছিলেন, বেহালা ম্যান্টনে। স্বাধীনতা দিবস পালনের আগের রাতে। ১৪ অগাস্টের অনুষ্ঠানে। প্রকাশ্য সভায় বক্তৃতা করতে গিয়ে।
আর তারপরই বেরিয়ে পড়েছে হাজার হাজার অনুব্রত। এই ছবি আসানসোলের।
শনিবার গরু পাচার মামলায় আসানসোল কোর্টে নিয়ে আসা হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। সেখানেই বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন কংগ্রেসের স্থানীয় নেতারা। হাতে জ্যান্ত মাগুর মাছ। দাবি, শাস্তি পেয়ে জেল থেকে বের হলে ফের অনুব্রতকে মাগুর মাছই বিক্রি করতে হবে।
মিছিল কোর্টের কাছে আসার আগেই হয় হামলা। তৃণমূলের এই বীরপুঙ্গব প্রকাশ্যে গুলি চালানোর হুমকি দেয় বলে অভিযোগ স্থানীয় কংগ্রেস নেতাদের। যদিও পুলিশ কর্তারা নিরাপত্তা দিয়ে সরিয়ে নিয়ে যান তাঁকে।
কংগ্রেসের দাবি রাজনীতিতে আসার আগে বাজারে মাগুর মাছই বিক্রি করতেন তৃণমুলের বীরভূমের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। ২০১১র পরের এগার বছরেই অনুব্রতর এমন বিপুল উন্নতি। সেই কারণেই মাগুর মাছ নিয়ে প্রতিবাদ।
তারপরেই দলবেঁধে আসে তৃণমূলের বাহিনী। তাঁদের সামনে নিতান্ত অসহায় আত্মসমর্পণ করেন পুলিশ কর্মীরা।
কোর্টের সামনে রাস্তায় কার্যত দাপিয়ে বেড়ায় হাজার হাজার অনুব্রত। অসহায় পুলিশ কর্তার শুধু দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেন।
কোর্টের বাইরে যখন সরকার ও বিরোধীদের মিছিল স্লোগান বিক্ষোভে পরিবেশ ক্রমশ গরম হচ্ছে, ঠিক তখনই কোর্টের ভিতর তখন সওয়াল-পালটা সওয়ালে সরগরম। তবে জামিন মিলল না বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের। ফের ৪ দিনের সিবি আই হেফাজতের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি।