কেষ্টর লটারি কেলেঙ্কারি!
ভানুমতির খেল (vanumatir khel) ! গরু (cattle smuggling) , কয়লার (coal scam) পর এবার লটারি কেলেঙ্কারি (lottery scam)। অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) কাজ কারবার যে কোনও রহস্য রোমাঞ্চ সিরিজকেও হার মানাবে। গত তিন বছরে বাপ-বেটির কপালে নাকি জুটেছে পাঁচ পাঁচটি লটারি। এর ফলে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে কয়েক কোটি টাকা। গল্পের মতো মনে হলেও সত্যি। এখনও পর্যন্ত সিবিআই জানতে পেরেছে, অনুব্রত কন্যা সুকন্যা (Sukanya Mondal) তিনবার লটারি জিতে পেয়েছেন ১ কোটি ১ লক্ষ টাকা। আর অনুব্রত দুবারে পেয়েছেন ১ কোটি দশ লক্ষ টাকা। এভাবে কারুর ভাগ্য খুলে যাওয়ার ঘটনা ভূ-ভারতে নেই। তাই তদন্তে নেমেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
অনুব্রত ও তার মেয়ের নামে যে লটারি লেগেছে, তার সবকটিই করোনার সময়ে। এবছর জানুয়ারি মাসেই প্রথম নজরে আসে অনুব্রতর লটারি পাওয়ার ঘটনা। ১ কোটি টাকার ডিয়ার বাম্পার লটারি বিজেতা হিসেবে উঠে আসে অনুব্রতর নাম। প্রকাশিত হয় ছবিও। তদন্তে নেমে বোলপুরের একটি লটারির দোকানে হানা দেয় সিবিআই। দোকান মালিককে জেরাও করা হয়। এর পরই একের পর এক জালিয়াতির কাণ্ড সামনে আসতে থাকে। দেখা যায়, অনুব্রত মেয়ের নামে দু বারে ৫১ লক্ষ টাকা জমা পড়েছে ব্যাঙ্কে। সবই লটারির টাকায়। কিছুদিন আগে দেখা যায়, আর একটি লটারি জিতেছেন সুকন্যা। ৫০ লক্ষ টাকা জমা পড়েছে তাঁর অ্যাকাউন্টে। অর্থাৎ তিনবারে ১ কোটি ১ লক্ষ টাকা পেয়েছেন সুকন্যা। অন্যদিকে অনুব্রত অ্যাকাউন্টে দু বারে জমা পড়েছে ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকা। সব মিলিয়ে ৫ বারে মণ্ডল পরিবারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে ২ কোটি ১১ লক্ষ টাকা। সবকটি ঘটনাই ঘটেছে গত তিন বছরে, কার্যত করোনার সময়ে।
এরমধ্যেই আর একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। লটারি সংস্থার কর্ণধারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। সেখান থেকে তারা জানতে পেরেছে, ওই লটারি সংস্থা তৃণমূল কংগ্রেসকে (TMC) নির্বাচনী বন্ড (Election Bond) বাবদ ১৫০ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছিল। একুশের ভোটেই মমতার ব্যানার্জির দলকে এই টাকা দেওয়া হয়। এই সময়ের আগে থেকেই কয়লা ও গরু পাচারের ঘটনায় তদন্তে নামে কেন্দ্রীয় সংস্থা। বেরিয়ে আসে একের পর এক কেলেঙ্কারি। গোয়েন্দাদের অনুমান, গরু পাচারের কালো টাকা সাদা করতেই এভাবে লটারির বাম্পার প্রাইজ পাইয়ে দেওয়া হচ্ছিল তৃণমূল নেতা, নেত্রীদের নামে। কিন্তু কেঁচো খুঁড়তেই বেরিয়ে পড়েছে কেউটে। তাই লটারি নিয়ে অনুব্রতকে প্রশ্ন করলে তিনি বিরক্ত হন। পুলিশকে গাড়ির কাচ নামিয়ে দিতে বলেন।
কিন্তু এভাবে কি পাপ ঢাকা দেওয়া যাবে? প্রথমে কয়লা কেলেঙ্কারি থেকে গরু পাচার, তারপর সেই টাকা সাদা করার চেষ্টায় লটারি বিক্রেতার সঙ্গে যোগসাজস। একের পর এক যে অভিযোগ উঠে আসছে, যে তথ্যের সন্ধান পাচ্ছেন গোয়েন্দারা, তা রাজ্যবাসীকে চমকে দিচ্ছে। এভাবে যে অন্ধকার জগতের বেতাজ বাদশা হওয়া যায়, সম্ভবত জাভেদ-সেলিমের কলমেও তা উঠে আসেনি। তাই টানটান কাহিনীর শেষ কোথায়, তা দেখার জন্য বীরভূমের পাশাপাশি অপেক্ষা করছে গোটা দেশবাসীই।
Tags:
cbi
anubrata mondal
Enforcement Directorate
ED
Anubrata Mandal
Cattle smuggling
coal scam
Bengal scam
anubrata mondal tmc
anubrata mondal latest news
anubrata mondal news
dear lottery
dear lottery result
anubrata mondal won lottery
anubrata mondal lottery
anubrata mondal lottery issue
anubrata mondal lottery news
anubrata wins lottery
lottery
anubrata lottery
central investigation agency
lottery scam
vanumatir khel