Anubrata's Assets: অনুব্রতের বেআইনি সম্পত্তির খোঁজে ফের CBI জেরা ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী, ব্যাঙ্ক ও রেজিস্ট্রি আধিকারিকদের

ফের বোলপুরে সিবিআই। একই সঙ্গে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী, রেজিস্ট্রি অফিসের রেজিস্ট্রার ও ব্যাঙ্ক আধিকারিককে তলব।বুধবার সকালেই বোলপুরে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে আসেন ৪ সিবিআই আধিকারিক। উদ্দেশ্য এদের সকলকে একসঙ্গে বসিয়ে, অনুব্রতের সম্পত্তি সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ।
ডাকা হয়েছে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী রাজীব ভট্টাচার্য। তাঁকে দ্বিতীয়বার ডাকল সিবিআই  বিশ্বভারতীর রতনকুঠিতে অস্থায়ী ক্যাম্পে।
গরু পাচার মামলায় অনুব্রতের গ্রেফতারির পর এঁদের সবাইকেই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। কাউকে কাউকে একাধিক বার তলব করা হয়েছে। 

কিছু দিন আগেই অনুব্রতের ব্যক্তিগত হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে নিজাম প্যালেসে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
অনুব্রতের মেয়ে সুকন্যার নামে একাধিক কোম্পানি রয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে দাবি করা হয়েছে। সূত্রে এ-ও জানা গিয়েছে যে, বেশ কিছু কোম্পানির ডিরেক্টর হিসাবেও রয়েছে অনুব্রত-কন্যার নাম। অনুব্রতের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বিশেষ লেনদেন না হলেও সেই সব কোম্পানিতে প্রচুর অর্থের লেনদেন হয়েছে। অন্য দিকে, তৃণমূল নেতা অনুব্রতের ঘনিষ্ঠ রাজীবের সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। এই রাজীব নাকি অনুব্রতের একাধিক চালকল-এর
দেখভাল করতেন। সে সময় একটি হাসপাতালে আর্থিক লেনদেনের বিষয় সামনে আসে।

অনুব্রতের স্ত্রী ছবি মণ্ডল রাজারহাট টাটা ক্যান্সার হাসপিটলেতে ভর্তি থাকাকালীন ঐ হাসপাতালে্র খরচ বাবদ ৬৬ লক্ষ টাকা পেমেন্ট করেছেন এই রাজীব।
এমন কি ঘনিষ্ঠতা বীরভুমের শাহেনশার সামনে? যার জন্য নেতার স্ত্রীর ৬৬লক্ষ টাকা চিকিৎসার খরচ মেটান একজন চাল ব্যবসায়ী?  

সিবিআই জেরার মুখে বোলপুর রেজিস্ট্রি দপ্তরের আধিকারিকরা। জমি সংক্রান্ত তথ্য জানতে বুধবার সিবিআই এর অস্থায়ী ক্যাম্পে তাদের ডেকে পাঠানো হয়।এদিন এই দপ্তরের দুজন আধিকারিক সিবিআই এর অস্থায়ী ক্যাম্প অফিস রতন কুঠীতে হাজির হন। এছাড়াও ডেকে পাঠানো হয়েছে স্থানীয় ব্যঙ্কের দুই অফিসারকে।

বোলপুরের বাসিন্দা ব্যবসায়ী সুজিত দেকেও ফের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিআই তলব করে।এর আগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সুজিত দের বোলপুরের বাড়িতে তল্লাশি চালায় এবং লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ করেন।