স্বাধীনতা ৭৫, অরবিন্দ ১৫০
১৫ আগস্ট। এক অদ্ভূত সমাপতনের দিন। এদিনই জন্ম নিচ্ছে স্বাধীন ভারত। আবার এই তারিখেই জন্মগ্রহণ করেছেন এদেশের এক মহান সন্তান। যিনি একদিকে বিপ্লবী, অন্যদিকে ঋষি। একদিকে কবি, অন্যদিকে দার্শনিক। এক দূরদ্রষ্টা দেশপ্রেমিক। তাই ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট দেশ যখন স্বাধীন হচ্ছে, তখন ৭৫ বছর বয়সে সেই যোগগুরু তথা স্বাধীনতা সংগ্রামী ঋষি অরবিন্দ তাঁর দিব্যদৃষ্টি দিতে চাইছেন তাঁর ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে। রেখে যাচ্ছেন তাঁর অমূল্য বচন। বলছেন, ১৫ আগস্ট স্বাধীন ভারতের জন্মদিন। একটা পুরনো যুগের অবসান ঘটছে। আসছে নতুন দিন। শুধু আমাদের কাছে নয়, এর তাৎপর্য এশিয়া তথা গোটা বিশ্বের কাছেই। রাষ্ট্রপুঞ্জে নতুন শক্তির উদয় ঘটছে, যা রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও মানবতার আধ্যাত্মিক বিকাশের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। অরবিন্দ বলছেন, শৈশবে ও যৌবনে যে আদর্শ ও লক্ষ্যের সন্ধানে চলতাম, আজ তা পূরণ হওয়ার প্রথম ধাপে। ভারত জাগছে, তা শুধু তার নিজের স্বার্থ পূরণ করার জন্য নয়, বরং বৃহত্তর স্বার্থেই এই জাগরণ। এই জেগে ওঠা ঈশ্বরের জন্য, গোটা বিশ্বকে সাহায্যের জন্য, গোটা মানব জাতির নেতা হওয়ার জন্য।
ঋষির প্রজ্ঞা থেকে ১৯৪৭ সালে যে কথা বলছেন অরবিন্দ ঘোষ, তা যেন তার মধ্যে সঞ্চারিত হয়েছিল সেই ছোটবেলা থেকেই। উনবিংশ শতাব্দীর অন্যতম চিন্তাবিদ মাতামহ রাজনারায়ণ বসুর কাছ থেকে ছোট বয়সেই তিনি পেয়েছিলেন জাতীয়তাবাদের বীজমন্ত্র। এই রাজনারায়ণই ১৮৮০-র দশকে 'বৃদ্ধ হিন্দুর আশা' নামে একটি পুস্তিকায় ভারতীয় উপমহাদেশের হিন্দুদের একত্রিত করার চেষ্টা করেছিলেন। হিন্দুদের একটি সংগঠনের অধীনে আসার আবেদন জানিয়েছিলেন। সেই দাদুর কাছেই শৈশবে জাতীয়তাবাদে দীক্ষিত হয়ে গিয়েছিলেন অরবিন্দ। তাই পড়াশোনার জন্য বিলেত ফেরত ডাক্তার বাবা কৃষ্ণধন ঘোষ যতই তাঁকে ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত করুন না কেন, অরবিন্দের মন কাঁদত দেশের জন্য। তাই পড়াশোনার জন্য সাত বছর বয়সেই ইংল্যান্ড পাড়ি দিলেও ১৪ বছর পর ফিরে এলেন দেশে। আইসিএস পরীক্ষায় পাশ করেও ব্রিটিশের চাকর হতে হবে বলে, এড়িয়ে গেলেন ফাইনাল ইন্টারভিও। বরং বরোদার মহারাজের সঙ্গে দেখা করে ফিরে এলেন ভারতে। যোগ দিলেন বরোদা এস্টেটে। সেখানে যেমন উজাড় করে দিচ্ছেন তাঁর পাশ্চাত্য শিক্ষা, তেমনি শিখছেন বাংলা, সংস্কৃত। পরিচিত হচ্ছেন ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে। এ যেন এক শিকড়ের সন্ধানে ছুটে চলা। ১৩ বছর কাজ করলেন বরোদায়। তারপর যোগ দিলেন রাজনীতিতে। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিপ্লবের পথই তাঁকে বেশি টেনেছিল। ১৯০৮ সালে আলিপুর ষড়যন্ত্র মামলায় তাঁর জেল হয়। আর এই জেলেই শুরু হয় যোগ অনুশীলন। শুরু হয় জগতমাতার সন্ধান। অন্তরাল থেকে যেন শুনতে পান স্বামী বিবেকানন্দের বাণী। অন্তরাত্মার ডাকে বেছে নেন সাধনের পথ। ১৯১০ সাল থেকে যা তাঁকে পুরোপুরি আধ্যাত্মিক পথে ঠেলে দেয়। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে তাই তিনি চলে যান চন্দননগর। তারপর পণ্ডিচেরী। জীবনের শেষ দিন অর্থাৎ ১৯৫০ সালের ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি সেই সাধনাতেই রত ছিলেন। পণ্ডিচেরীর আশ্রম থেকে জ্বেলে গিয়েছিলেন জ্ঞানের প্রদীপ। রাজনীতির সঙ্গে যোগসূত্র স্থাপন করেছিলেন ধর্মের। উপনিষদ আর গীতা পাঠের রাজনৈতিক দর্শনই তিনি মেলে ধরতে চেয়েছিলেন আপামর ভারতবাসী তথা সারা বিশ্বের কাছে। প্রাচ্য পাশ্চাত্যের মেলবন্ধনেই তৈরি করতে চেয়েছিলেন এক সুন্দর পৃথিবী। আজ তাঁর জন্মের দেড়শ বছর পরেও তাই তিনি সমান প্রাসঙ্গিক।
স্বাধীনতা ৭৫, অরবিন্দ ১৫০
At the 75th Independence Day, Azadi ka amrit mahotsav,Rishi Aurobindo complets his 150th birthday
#Aurobindo #Independencedayofindia #AzadiKaAmritMahotsav
aurobindo ghosh, aurobindo ghosh 15th August, sri aurobindo ghosh, sri aurobindo, aurobindo ghosh birthday 15th August, aurobindo ghosh life, aurobindo ghosh political thought, educational philosophy of aurobindo ghosh, sri aurobindo ashram, aurobindo ghosh biography, aurobindo ghosh philosophy,swarnalata devi aurobindo ghosh mother, freedom fighter aurobindo ghosh,
75th independence day,independence day, independence day celebration, happy independence day, 75th independence day celebrations, bangla news, bengali news, madhyom,
Tags:
Madhyom
bangla news
Bengali news
75th Independence Day
INDEPENDENCE DAY
Sri Aurobindo
aurobindo ghosh
aurobindo ghosh 15th August
sri aurobindo ghosh
aurobindo ghosh birthday 15th August
aurobindo ghosh life
aurobindo ghosh political thought
educational philosophy of aurobindo ghosh
sri aurobindo ashram
aurobindo ghosh biography
aurobindo ghosh philosophy
swarnalata devi aurobindo ghosh mother
freedom fighter aurobindo ghosh
independence day celebration
happy independence day
75th independence day celebrations