নিষিদ্ধ PFI সক্রিয় বাসন্তীতে!
১২ বছর ধরে নজর ছিল গোয়েন্দাদের। সন্দেহজনক গতিবিধি দেখেই সক্রিয় হয়ে উঠেছিল বিভিন্ন দফতর। অবশেষে নিষিদ্ধ (ban) করা হল পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (Popular Front of India) বা পিএফআইকে (PFI)। ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে পিএফআইয়ের আরও ৮টি সহযোগী সংস্থাকে। ফলে নিষিদ্ধ সংগঠনের তালিকায় লস্কর ই তৈবা (LeT), জইশ এ মহম্মদ (Jaish-e-Mohammed),সিমি (SIMI), আল কায়দার (al-Qaeda)পাশেই জায়গা করে নিল পিএফআই। তবে কেন্দ্র এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ করলেও মিছিল বেরোয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Pargana) বাসন্তীতে (Basanti)। তারা এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে থাকে। ফলে বাসন্তীতে যে এই সংগঠন যথেষ্ট সক্রিয় ছিল, তা পরিষ্কার হয়ে গেল।
পিএফআইকে নিষিদ্ধ ঘোষণার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন মুসলিম ধর্মগুরুরাও। অল ইন্ডিয়া মুসলিম জামাতের(all india muslim jamaat) প্রেসিডেন্ট মৌলানা সাহাবউদ্দিন রাজভি (Maulana Shahabuddin Rajvi) এক ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন জঙ্গিবাদ দমনে সরকারের এই সিদ্ধান্ত সঠিক। সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছেন আজমেঢ় দরগার (Ajmer Sharif Dargah) প্রধান জইনুল আবেদিন আলিও (Syed Zainul Abedin)। তাঁরা জানিয়েছেন, দেশ নিরাপদে থাকলে, দেশবাসীও নিরাপদে থাকবে। দেশ যে কোনও প্রতিষ্ঠান কিংবা মতবাদের চেয়ে বড়। কেউ যদি দেশকে ভাঙতে চায়, জাতীয় ঐক্য বিনষ্ট করতে চায়, দেশের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণ করতে চায় তাদের এদেশে থাকার কোনও অধিকারই নেই।
আসলে এই অভিযোগগুলিই উঠছিল পিএফআইয়ের বিরুদ্ধে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, সংগঠনটি তালিবানি ধাঁচে মৌলবাদী ভাবধারা ছড়ানোর চেষ্টা করছিল। বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির সঙ্গে এদের যোগ মিলেছে। যোগ আছে আইসিসের মতো জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গেও। পিএফআই দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ক্রমশই বিপজ্জনক হয়ে উঠছিল। সংগঠনে যে সব সূত্রে টাকা আসত, তা নিয়েও সন্দেহ দানা বাঁধছিল।
কেরলে সংগঠনটি প্রথমে গড়ে উঠলেও তা ছড়িয়ে পড়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। কয়েক বছরের মধ্যে সদস্য সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ে পশ্চিমবঙ্গে। যা ক্রমশ চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছিল। দেশজোড়া ধরপাকড়ের পর বাসন্তীতে যেভাবে মিছিল বেরিয়েছে, তাতে স্পষ্ট পপুলার ফ্রন্ট সক্রিয় এখানেও। তাই পুলিশ এখানে কতটা সক্রিয় হয়ে ওঠে সেটাই দেখার।