বরানগরে বিস্ফোরণের নেপথ্যে কী?
প্রোমোটার চক্রের থাবাতেই কি বরানগরে শেষ হয়ে গেল একটি প্রাণ?রাতের অন্ধকারে ভেঙে মাটিতে মিশে গেল একটি গোটা ছাদ! বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কেঁপে উঠল আশপাশের বাড়ি। ১০০ মিটার দূরে থাকা স্থানীয় ক্লাবও কেঁপে উঠল থরথর করে। মাঝ রাতে ধ্বংসস্তূপের নীচে থেকে উদ্ধার করা হল বাড়ির মালকিনের দেহ। নাম সুমিত্রা মাইতি। বয়স ষাটের কাছাকাছি। বরানগরে অনন্যা সিনেমা হলের কাছেই টি এন চ্যাটার্জি স্ট্রিটের ঘটনা। মেয়ের বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর একাই থাকতেন বাড়ি আগলে। বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার হুমকিও এসেছিল। কিন্তু শহরের বহু পুরনো বাড়ি আঁকড়ে থাকা বাসিন্দাদের মতো ইনিও দিন কাটাচ্ছিলেন তাঁর অতীতের স্মৃতি আগলে। আচমকাই এই ঘটনা। বিকট বিস্ফোরণের পরই মাটিতে মিশে গেল একটি বাড়ি। বিস্ফোরণের পরই ঘটনাস্থলে দেখা যায় পুরসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান সহ অন্য প্রতিনিধিদের। তাঁদের মতামতও প্রায় পরস্পরবিরোধী।
কলকাতা শহর এখন কার্যত বৃদ্ধাবাসে পরিণত হয়েছে। ছেলে মেয়েরা সকলেই কাজের খোঁজে পাড়ি দিয়েছে ভিন রাজ্যে। ঘরে ঘরে বৃদ্ধ বৃদ্ধা। আর তাদের বাড়ি দখলের জন্য পাড়ায় পাড়ায় প্রোমোটার চক্র। সুযোগ পেলেই তা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা। সেদিকে তাকাবার সময় নেই পুলিশ প্রশাসনের। বরং এক অশুভ আঁতাঁতে আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ। কেউ মুখ খুলতে চান না। যেমন এদিনও দেখা গেল সেই ছবি। অনেকেই এই ঘটনাকে সন্দেহের চোখে দেখছেন। কিন্তু সকলেই আড়ালে। কেউ মুখ খুললেও তাকে চেপে যেতে বলা হচ্ছে। তাহলে কি প্রোমোটার চক্রের এক মর্মান্তিক ছবি দেখল বরানগর? করুণ পরিণতি হল এক প্রৌঢ়ার? সুমিত্রা দেবীর মেয়ে পুলিশের কাছে অন্তর্ঘাতের অভিযোগ করেছেন। কিন্তু তিনি বিচার পাবেন কিনা সেটাই কয়েক লক্ষ টাকার প্রশ্ন।