প্রিজন ভ্যানে বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার
শুক্রবার দলীয় কার্যালয়ে কার্যত তাণ্ডব চালিয়েছে উন্মত্ত জনতা। শনিবার সেখানে যেতে পারবেন না দলের রাজ্য সভাপতি। আবদার রাজ্য পুলিশের।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নিউটাউনের বাড়ির সামনে তখন রাজ্য পুলিশের বড় মেজ সেজো কর্তারা। তাঁদের বক্তব্য, শুক্রবার বিকেলে হাওড়ার পাঁচলায় ভাঙচুর চালানো ভস্মীভূত বিজেপির দলীয় কার্যালয় দেখতে গেলে আইন শৃঙ্খলার অবনতি হবে রাজ্যে!
অতএব নিজের দলের আক্রান্ত দফতর দেখতেও যেতে পারবেন না দলের রাজ্য সভাপতি। অনড় সুকান্ত মজুমদার জানিয়ে দেন, পুলিশের এধরণের কোন নির্দেশ মানতে তিনি রাজি নন। ততক্ষণে ভিড় জমে গেছে বিজেপি রাজ্য সভাপতির বাড়িতে। শুরু হয়ে গেছে সংবাদ মাধ্যমের ছুটোছুটি।
বাইরে প্রস্তুত গাড়ি। বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। আর ভিতরে পুলিশের প্রহরা সুকান্ত মজুমদারকে আটকাতে। যাতে কিছুতেই বাইরে যেতে না পারেন। হুমকি প্রয়োজনে হাউস এরেস্ট করা হবে সুকান্ত মজুমদারকে।
কার্যত হাউস এরেস্টই করা হল বিজেপি সভাপতিকে। খবর আসছে পাচলার অফিসে ততক্ষণে পৌছে গেছেন প্রাক্তন সভাপতি দিলিপ ঘোষ। সঙ্গে রাজ্য নেতারাও। বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যম পৌছে যায় সেখানে। খবর আসতে শুরু করে, আসতে থাকে ছবি।
যে সংবাদকে আটকাতে রাজ্য পুলিশের এত উদ্যোগ ততক্ষণে তা জলে। অবশেষে বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে জানানো হয় মুচলেকা দিয়ে পাচলা যেতে হবে। ওখানে কোন রকম গণ্ডগোল ঘটলে দায়ী থাকবেন তিনি। রাজ্য পুলিশের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন, সুকান্ত।
দ্বিতীয় হুগলী সেতু পেরিয়ে তখন সাজো সাজো রব। রাজ্য পুলিশের আরেক বাহিনীর। পথ আটকে অপেক্ষায়। কখন এই পথে পাঁচলা যাওয়ার জন্য আসবেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। সুকান্ত মজুমদার এলেন। গাড়ি আটকালো রাজ্য পুলিশ। গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হল রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের নেতা রাজ্য সভাপতি, নির্বাচিত সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে। অপরাধ, শুক্রবার একদল উন্মত্ত দুষ্কৃতির হাতে নিজের দলের ভাঙচুর হওয়া অফিস দেখতে ঘটনাস্থলে যাওয়া। কর্মীদের ভরসা দেওয়ার চেষ্টা।
তবে, এখনও দফায় দফায় পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালানো ও আগুন লাগানোর অপরাধে কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি রাজ্য পুলিশ। আশ্চর্যজনক ভাবে আজই রাজ্য পুলিশের ডিজি এম মালব্য একটা ট্যুইট করেছেন। বাস্তব আর গুজব নিয়ে। রাজনৈতিক মহলের মত, ঐ ট্যুইটের বিপরীত অর্থের প্রমাণ তাঁর বাহিনী নিজেই।