মুখ্যমন্ত্রীর সভার আগেই বোমা বিস্ফোরণ পাণ্ডবেশ্বরে
বুধবার দুপুরে ছিল মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক। পূর্ব আর পশ্চিম বর্ধমান জেলার। তাঁর আগেই সকালেই বোমা বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল পাণ্ডবেশ্বর। সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ অজয়ের তীর সংলগ্ন শ্মশানঘাটের কাছে একটি বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ হয়। উড়ে যায় ছাদ দেওয়াল। আশেপাশের চারটি বাড়ি মিশে যায় মাটির সঙ্গে। ঘটনার তদন্তে আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের ডিসি অভিষেক গুপ্তা। কারা কিসের জন্য বোমা মজুত রেখেছিল খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পাণ্ডবেশ্বরের শ্মশান ঘাটে বোমা বিস্ফোরণ নিয়ে শুরু রাজনৈতিক তরজা। গোটা ঘটনাকে ষড়যন্ত্র বলে দাবি, পান্ডবেশ্বরের বিধায়কের। তাঁর বক্তব্য বৃষ্টিতে বাড়ি ভেঙে পড়েছে। তাকেই বোমা বিস্ফোরণ বলে চালানো হচ্ছে। বিধায়ক বলেন, অভিযোগ হলে তদন্ত করবে পুলিশ।
এদিকে জেলা পুলিশের তদন্তে আস্থা নেই। অবিলম্বে এনআইএ-কে দিয়ে তদন্ত করানোর দাবি বিজেপির। বোমা বিস্ফোরণের পর আসানসোলের বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারির দাবি পাণ্ডবেশ্বরকে অশান্ত করতেই বোমা বারুদ আমদানি করা হচ্ছে। তিনি বলেন বিস্ফোরণের চেহারা দেখেই বোঝা যাচ্ছে, কম বেশি শ'খানেক বোমা মজুত ছিল ঘটনাস্থলে। তাঁর অভিযোগ শাসক দলের মদতেই বোমা বারুদ বন্দুক মজুত করা হচ্ছিল।
এন আই এর তদন্ত চেয়ে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে চিঠিও পাঠিয়েছেন বিজেপি নেতা। বগটুই ঘটনার পর, বীরভূমে বোমা আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের নির্দেশ দেওয়ার পর নড়ে চড়ে বসে পুলিশ প্রশাসন। জিতেন্দ্র তেওয়ারির কটাক্ষ, পান্ডবেশ্বরে কি আরও এক বগটুই চাইছে প্রশাসন।
পাণ্ডবেশ্বরের বোমা বিস্ফোরণ শুরু রাজনৈতিক তরজা