Bhangar: তৃণমূলের কোন নেতাকে আড়াল করতে পোড়ান হল সরকারি নথি?

কদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন বাম আমলের যাবতীয় নথি নাকি নষ্ট করেছে, পুড়িয়ে দিয়েছে রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটি। এবার হাতে গরম প্রমাণ কে পোড়াচ্ছে নথি?

এই ছবি ভাঙ্গড়ের। যেখানে তৃণমূল নেতা শওকত মোল্লা, প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলামের নির্দেশে গাছের পাতাও নড়ে না। সেই ভাঙ্গড়ে পুড়ছে সরকারি নথি। গ্রামবাসীদের কাছ থেকে খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে সিবিআই। আগুনে পুড়ে যাওয়া নথি কাগজ বিল উদ্ধারের চেষ্টায় মরিয়া। কাগজে সরকারি স্ট্যাম্প দেখে তদন্তকারীরা মনে করছেন সেগুলো নিয়োগ সংক্রান্ত কোনও নথিই হতে পারে। মূলত কয়লা সংক্রান্ত নথি। 

ভাঙড়ের আন্দুলবেড়িয়ার বাগানবাড়ি সংলগ্ন এলাকার ঘটনায় সরগরম রাজ্যের রাজনীতি। গ্রামবাসীদের বক্তব্য,মঙ্গলবার স্থানীয় কয়েক জন তৃণমূল নেতা সকালে লরি করে বিশাল কাগজপত্র নিয়ে যান সেই মাঠে। সেখানে কাগজগুলি একসঙ্গে জড়ো করে আগুন ধরিয়ে দেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে খবর পায় সিবিআই। কিন্তু প্রশ্ন হল হঠাত এই সমস্ত নথি হঠাত পোড়ানোর দরকার পড়ল কেন? গ্রামবাসীদের সূত্রে জানা গেছে,যে তৃণমূল নেতারা লরিতে কাগজ এনেছিলেন, তাঁরা আবার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ। ফাইল কাগজগুলি অর্ধেকের বেশি পুড়ে গিয়েছে। আগুনে বালি ও জল দিয়ে নিভিয়ে নথি উদ্ধারের চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।

গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সিবিআই-এর জনা আটেক অফিসার চেষ্টা করছেন নথি বাঁচানোর। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন নতুন কোন কেলেঙ্কারির সামনে আসতে চলেছে? নাকি কয়লা কাণ্ডে তৃণমূল সাংসদ অভিষেককে পর পর দুদিন ডাকের পরই পোড়ানর চেষ্টা কেন? নাকি শওকত মোল্লা যে কিনা অভিষেকের ডান হাত তাঁকে তলব করায় নষ্ট করা হচ্ছে সরকারি নথি।

এর আগেও কালিঘাটের গঙ্গার কাছে পাওয়া গেছিল বস্তা পাঁচেক টাকা পোড়ানোর হদিশ । যে তদন্তের ভার নিয়েছিল কলকাতা পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। ২০১১ সালের নির্বাচনে কুপন পোড়ানো হয়েছিল বাইপাসে তৃণমূলের রাজ্য অফিসে। যিনি পুড়িয়েছিলেন তিনি গতকাল রাতের থেকেই নিখোজ। সকালে খোঁজ মেলে দিল্লি বিমান বন্দরে। 

মুকুল রায়। একদা তৃণমূলের নাম্বার টু। কুপন পোড়ানো সংস্কৃতির মাস্টার মাইণ্ড আজ অসুস্থ। আর আজই যে তথ্য আড়াল করতে সরকারি নথি পোড়ানো হল সেই তথ্য সামনে আসুক দ্রুত। জানতে চায় বাংলা।