অনুব্রতহীন আব্দুল কেরিম খানের কি বিপদ বাড়ল?
চাকরি গেল কেরিম খানের?
বীরভূমে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কেরিম খান বীরভূম জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধক্ষ্য। বীরভূমে তৃণমূলে কংগ্রেসের নবজোয়ার' কর্মসূচি শেষে শুক্রবার জেলা ছেড়ে যাবার আগে জানিয়ে দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
বোলপুরের সিয়ানে শুক্রবার জেলার সমস্ত নেতাদের ডাকলেও ডাক পড়েনি অনুব্রতর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা আব্দুল কেরিম খানের। সেখানেই জেলার কোর কমিটির নেতাদের নির্দেশ দিয়ে গেছেন কেরিম খানকে তার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেবার।
কিন্তু কি এমন ঘটনা ঘটল যার জন্য সরিয়ে দিতে হল কেরিম খানকে? যিনি বীরভূমের বাঘ অনুব্রত মণ্ডলের ডানহাত ছিলেন একদা। অনুব্রত জন্মদিনে তাঁকে রুপোর মূর্তি, তলোয়ার উপহার উপঢৌকন দেওয়া নেতা কেরিম খান। শোনা যায় সম্প্রতি অনুব্রতের কালী প্রতিমার একটা করে সোনার গয়না প্রতিবছর গড়িয়ে দিতেন কেরিম খান। ১০১৫-১৬ সাল থেকে নিয়মিত।
অনুব্রত গ্রেফতারের পর, গরু পাচার কাণ্ডে, সিবিআই,ইডি-র স্ক্যানারে এই নেতা। ডাকও পড়েছিল সিবিয়াই দফতরে। জিজ্ঞাসাবাদও কড়া হয় তাঁকে।
এছাড়াও বীরভূম বাসী তাঁকে চেনে জমি হাঙর বলে। জেলার পূর্ত কর্মাধক্ষ্য হওয়ার সুবাদে অসীম ক্ষমতার অধিকারী কেরিম খান নানুরের বাসাপাড়ায় তিল তিসি চাষ হওয়া উর্বর ৩৫ বিঘা কৃষি জমি দখল করে। অভিযোগ গরীব মানুষের কার্যত বন্দুকের ডগায় দাঁড় করিয়ে কেড়ে নেওয়া হয় জমি। জেলা বিএলআরও অফিস কোন ব্যবস্থা নিতে পারেনি। এই ৩৫ বিঘা জমির রেজিস্ট্রিও হয়েছে তৃণমূলের নানুরের অফিসে। সূত্র জানাচ্ছে, রেজিস্ট্রাওকেও তুলে আনা হয়েছিল জমি দখল করতে। এই নিয়ে ব্যাপক ক্ষুব্ধ বাসাপাড়ার মানুষ। বার বার বিক্ষোভ হয়েছে এখানে। কিন্তু জমি ফেরত পায়নি কেউ। এই জমিতে নাকি তৃণমূলের খেলা মেলার মাঠ হবে।
যে কুচক্রীদের কথা তিনি বলছেন, সেই কুচক্রীরাই নাকি দলের সর্বোচ্চ নেতার কাছে অভিযোগ জানিয়েছে দাবি কেরিম খানের।তবে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে আবাস যোজনার ক্ষেত্রেও ব্যাপক লুঠ চালিয়েছে এই কেরিম খান।
অনুব্রত গ্রেফতারের পর বীরভূমের রাজনৈতিক পরিস্থিতির বেশ কিছুটা বদলে হয়েছে। কোর কমিটিতে নিয়ে আসা হয়েছে, অনুব্রত বিরোধী কাজল শেখ ও শতাব্দী রায়দের। ফলে অনুব্রত গোষ্ঠীর একাধিপত্যে টান পড়েছে। কাজল শেখ এলাকা দখলের চেষ্টা যেমন শুরু করেছে, তেমনই কেরিম খানও ভেবেছিলেন, একলা দখলদারি চালাবেন। কাজলের সঙ্গে জোট বাঁধে নানুরের বিধায়ক সহ ব্লক সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য। অন্যদিকে নানুরের প্রাক্তন বিধায়ক গদাধর হাজরা যোগ দেন কেরিম খানের গোষ্ঠীতে। দুই গোষ্টীর মধ্যে কাজিয়াও বাড়ছিল। তা নিয়েও বিব্রত ছিল জেলা তৃণমূল শিবির। তবে বীরভূম তৃণ্মুলের আরেক সূত্র জানাচ্ছে, অনুব্রত গ্রেফতারের পর, কলকাতায় মুড়ির টিনের কৌটো ঠিকঠাক পৌছাচ্ছে না বলেও অভিযোগ।
অভিভাবক অনুব্রতহীন আব্দুল কেরিম খানের যে বিপদ কিছুটা বাড়ল তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
Tags:
Birbhum
Madhyom
tmc
anubrata mondal
Trinamool Congress
bangla news
Bengali news
Abhishek Banerjee
anubrata cow smuggling
birbhum tmc news
anubrata mondal tmc
anubrata mondal news
Anubrata Aide
birbhum tmc
kerim khan
tmc birbhum
anubrata aide kerim khan
birbhum zila parishad abdul kerim khan
kerim khan scam
anubrata mondal aide kerim khan
increased
absence of anubrata
tmc abdul kerim khan
kerim khan tmc
increased the danger
danger
birbhum politics