তোলাবাজি জুলুমবাজি নয়, প্রকাশ্যে হুঁশিয়ারি মন্ত্রীর
কাঁপছেন মন্ত্রী প্রকাশ্য সভায়। নির্দেশ দিচ্ছেন কর্মীদের তোলাবাজি না করতে। ব্যবসায়ী দোকানদারদের কাছ থেকে টাকা না তুলতে। শুধু কি মন্ত্রী? তৃণমূল যুবা সাধারণ সম্পাদকের গলাতেও একই সুর। খয়রাশোলে কি হল তৃণমূলের? বেআইনি কয়লার আইনি বখরা নিয়ে মাফিয়াদের মারামারি বোমাবাজি গুলিতে মরতে হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতিকে। নিজস্ব বিশেষ সুরক্ষা, সরকারি দেহরক্ষীও বাঁচাতে পারেনি ব্লক তৃণমূলের সভাপতিকে। একজন নয় দফায় দফায় কয়লা মাফিয়াদের একগোষ্ঠীকে হাত করতে যাকেই ব্লক সভাপতি করতে হয়েছে। অন্য গোষ্ঠীর হামলায় সে খুন হয়েছে। অশোক ঘোষ,অশোক মুখার্জী,দীপক ঘোষ তিন তিনজন ব্লক সভাপতি খুনের পর আর কেউই খয়রাশোল ব্লকে তৃণমূলের সভাপতি হইতে চাইছেন না।
তিন ব্লক সভাপতি খুন শুধু মাত্র কয়লার টাকা ভাগ বাটোয়ারার জন্য। এমনকি ইসিএলের অফিসে বসে দাদাগিরিও চলত তৃণমুল নেতাদের। বীরভূম জেলার শেষপ্রান্ত খয়রাশোল ব্লকের খয়রাশোল,কাঁকড়তলা বামফ্রন্টের আমলে ছিল মাওবাদীদের আঁতুরঘর। এগারো সালের পর সব মাওবাদীরাই তৃণমূল বনে যাওয়ায় বিপদ আরও বেড়েছে। তৃণমূলের আমলে খয়রাশোল হয়েছে খুন,বোমা,বারুদের এলাকা। স্থানীয় অফিস থেকে ব্যবসায়ীদের হুমকি, টাকা তোলা, জুলুমবাজি চলত। অনেক ব্যবসায়ী ব্যবসা গুটিয়েও নিতে বাধ্য হয়েছেন। ফলে মন্ত্রীকেও এখন মঞ্চে দাঁড়িয়ে প্রকাশ্যে বলতে হচ্ছে তোলা তুলবেন না।
প্রায় একই বয়ান তৃণমূল যুবার সাধারণ সম্পাদক সুদীপ্ত ঘোষের।
তৃণমূল তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর স্থানীয় ব্যবসায়ীদের আতঙ্ক বেড়েছে বৈ কমেনি। বেআইনি কয়লার কেলেঙ্কারির টাকা কোথায় ঢুকেছে। কার নির্দেশে কারা এই কয়লা কাণ্ডে যুক্ত তা নিয়ে তদন্ত করছে সিবিআই। ফলে টনক নড়েছে দলের মন্ত্রীর। প্রকাশ্য মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলতে বাধ্য হচ্ছেনঃ তোলাবাজি করবেন না। ব্যবসায়ীদের কাছে টাকার জুলুম নয়!