বিজেপি বিধায়ক ড: অশোক লাহিড়ির সাংবাদিক বৈঠক ( ছবি: ফেসবুক)
রাজ্যে অন্যান্য ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে না বলেই মনরেগায় কাজ করছেন রাজ্যবাসী। মনরেগা পরিত্রাণের নয়, আসলে ত্রাণের চাকরি। মনরেগায় সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান রাজ্য সরকারের সাফল্য নয়, কর্মসংস্থান তৈরি করতে না পারার ব্যর্থতা। এগিয়ে নয়, পিছিয়ে বাংলাকেই চেনায়। মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনায় বিজেপি বিধায়ক অর্থনীতিবিদ অশোক লাহিড়ী।
মনরেগা বা ১০০দিনের কাজের আইনেই বলা আছে, রাজ্য সরকারকে লেবার বাজেট দিতে হয়,তার পরিমাণ কত? জানতে চান বিজেপি বিধায়ক। তিনি বলেন প্রাথমিক ভাবে চারটি মূল নীতি মেনে চলতে হয়ে, যার একটি হচ্ছে সোস্যাল অডিট, স্টেট এমপ্লয়িজ গ্যারান্টি কাউন্সিল, কর্মীদের বিমাকরণ, অনলাইনে মজুরি দেওয়ার ব্যবস্থা। তিনি বলেন কোন জেলাতেই ন্যূনতম আইন মেনে ১০০দিনের কাজ হচ্ছে না।
রাজ্য সরকার বারবার সভাসমিতিতে দাবি করছে কেন্দ্রীয় সরকার ১০০দিনের কাজের টাকা দিচ্ছে না? সেই প্রসঙ্গ তুলে অর্থনীতিবিদের জিজ্ঞাসা, মনরেগা আইনের ২৭ নম্বর ধারায় কেন্দ্রীয় সরকার কোন চিঠি দেয়নি তো রাজ্য সরকারকে? ২৭ নম্বর ধারায় চিঠি তখনই পাঠানো হয় যখন মনরেগার কাজে বড়সড় অসঙ্গতি ধরা পড়ে।
তাহলে কি ১০০ দিনের কাজের টাকাও মেরে দিচ্ছেন শাসকদলের নেতা মন্ত্রীরা? প্রশ্ন অশোক লাহিড়ির। তাহলে কি এটাও চোর-আড়ালের রাজনীতি করছেন মুখ্যমন্ত্রী? নিজের দলের কর্মী নেতাদের অপরাধ ঢাকতেই প্রতি সভায় ১০০দিনের কাজের টাকা না পাওয়া নিয়ে মেকি কান্না, ঘোষণা আর লোক খেপানো?