বীরভূমের মাড়্গ্রামে উদ্ধার এক ট্রাঙ্ক বোমা (নিজস্ব চিত্র)
বগটুই ঘটনার পর কেটে গেছে ৬৭ দিন। এখনও বীরভূম জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উদ্ধার হচ্ছে বোমা বারুদ অস্ত্র। আজ মাড়গ্রাম থানার মাহিপাড়া থেকে এক ট্রাঙ্ক বোম উদ্ধার করল মাড়গ্রাম থানার পুলিশ।
২১ মার্চের ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ ছিল যাবতীয় বোমা অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। তারপর থেকে উদ্ধার হয়েই যাচ্ছে। বগটুই গ্রাম থেকে খুব বেশি দূরে নয় মাড়গ্রাম। এর আগে মাড়গ্রামে রামপুরহাট-বিষ্ণুপুর রাজ্য সড়কের ধারে নির্মীয়মাণ বাড়ির পিছনের চৌবাচ্চায় ৪ ড্রাম বোমা মিলেছিল। ড্রামগুলি খড় দিয়ে চাপা দেওয়া ছিল। স্থানীয় মানুষ খবর দেয় পুলিসকে। তাহলে কি বিরোধীদের অভিযোগ ঠিক, বারুদের স্তুপের ওপর বসে আছেন বীরভূমবাসী?
এক ঝলকে দেখে নিন কবে কোথায় কি পরিমাণ বোমা আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে-
৪ এপ্রিল -- লোকপুরে তাজা বোমা উদ্ধার
৯ এপ্রিল -- নানুরে ৫ টি আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার ৫জন।
১৬ এপ্রিল -- বোমা উদ্ধার মাড়গ্রামে
৩ মে -- রামপুরহাটে তাজা বোমা উদ্ধার
১০ই মে -- বোমা উদ্ধার পাইকরে
১১মে -- আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার রামপুরহাটে
১৬মে -- আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার রামপুরহাটে
১৯মে -- আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার রামপুরহাটে
২৪মে -- আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার রামপুরহাটে
২৫মে -- আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার রামপুরহাটে
২৫মে -- আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার লাভপুরে
২৭ মে -- বোমা উদ্ধার মাড়গ্রামে
রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি, শ্যামাপদ মণ্ডল কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, "বীরভূম জেলা সভাপতির দায়িত্বে থাকাকালীন তিনি একাধিকবার বোমা উদ্ধারের দাবি জানিয়েছিলেন। সেই কাজ শুরু হল, যখন তৃণমূল নিজেরাই নিজেদের মারছে। এতদিন বিরোধীদের মারত।" নিত্যদিন বোমা উদ্ধার নিয়েও ক্ষোভ এলাকাবাসীর। তাদের প্রশ্ন, "প্রতিদিন বোমা উদ্ধারের পরও কিভাবে এলাকায় এত বোমা পাওয়া যাচ্ছে? কাদের মদতে এলাকায় বোমা বারুদের শিল্প তৈরি হচ্ছে?"