img

Follow us on

Friday, Nov 22, 2024

Burdwan: টাকা নেই, মিলল না অ্যাম্বুলেন্স, ভাতারে পথেই মৃত্যু রোগীর, দায় কার?

টাকা নেই, মিলল না অ্যাম্বুলেন্স, ভাতারে পথেই মৃত্যু রোগীর, দায় কার?

  2023-04-21 20:39:34

রোগী ছিল। সরকারি অ্যাম্বুলেন্স ছিল। অ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার ছিল। অ্যাম্বুলেন্সে তেল ছিল। কিন্তু জন-মজুর মেনকা কোঁড়ার স্বামী অসিত কোঁড়ার পকেটে ৭ লিটার ডিজেলের টাকা ছিল না। তাই মিলল না অ্যাম্বুলেন্স। অ্যাম্বুলেন্স না মেলায় অসুস্থ বৌকে টোটোয় চাপিয়ে, ছুটলেন ভাতার স্টেশনে। যদি ট্রেন ধরে বর্ধ্মান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায়। কারণ ভাতার গ্রামীণ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিতসাটুকু করেই রেফার করা হয়েছিল বর্ধমান হাসপাতালে। নাহ, ট্রেন পর্যন্ত পৌছাতে হয়নি মেনকা কোঁড়াকে। টোটো যেখানে নামিয়ে দিয়ে গেছে সেই গাছতলার ছায়াতেই মারা গেলেন। প্রায় বিনা চিকিৎসায়। পকেটে চিকিৎসা কেনার পয়সা না থাকলে গরীব মানুষের যা হয়।
স্ত্রীর দেহ আগলে রেলস্টেশনের গাছের তলায় বসে বসে কাঁদছিলেন স্বামী অসিত কোঁড়া। ঘটনা শুনে স্থির থাকতে পারেননি দুই যুবক,রফিকুল ইসলাম, শেখ আবসার। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা তুলে ফের পাঠালেন ভাতার হাসপাতালে। তবে তাঁর অনেক আগেই সব শেষ। ভাতার হাসপাতালে পৌঁছানোর পরেও ওই রোগীর জন্য অ্যাম্বুলেন্স না জোটায় প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা। 
 
বর্ধমানের পারবীরহাটা এলাকায় বাড়ি কোঁড়া পরিবারের। স্বামী স্ত্রী দু'জনেই জনমজুরি করেন। গত সোমবার স্বামী-স্ত্রী ও আরও কয়েকজন মিলে ভাতারের কাঁচগড়িয়া গ্রামে এক কৃষকের কাছে বোরোধান কাটার কাজে যান। অসিত কোঁড়া জানান,ভয়ানক গরমে দুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন মেনকা। বৃহষ্পতিবার ভাতার হাসপাতালে দেখাতে নিয়ে যান। সেখানে দু বোতল স্যালাইন দিয়ে বর্ধমানে হাসপাতালে রেফার করে। অ্যাম্বুলেন্স চেয়েছিলেন। হাসপাতালে জানিয়েছে অ্যাম্বুলেন্স নেই।
অথচ অ্যাম্বুলেন্স যে ছিল জানিয়েছেন চালক। জানিয়েছেন। তিনিও ছিলেন ডিউটিতে। কিন্তু হাসপাতালের পক্ষ থেকে কেউ তাঁকে কোন নির্দেশ দেননি।
কৈলাস আরও জানিয়েছেন, ২০২০ সালের থেকে ঐ অ্যাম্বুলেন্স রোগী পরিবহনে ব্যবহার হয় না। অ্যাম্বুলেন্স প্রাইভেট গাড়ির মত ব্যবহার করেন বিএমওএইচ ম্যাডাম। ওষুধ ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী আনা নেওয়ায় ব্যবহার হয়।
তবে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহারের নিয়ম হল তেলের দাম দিতে হবে রোগীর পরিবারকে। বর্ধমান যেতে লাগে ৭ লিটার ডিজেল। অর্থাৎ কমবেশি ৭০০টাকা
 
বি এম ও এইচের সঙ্গে যখন দেখা করতে গিয়ে অদ্ভুত অভিজ্ঞতা। তিনি তখন মোবাইলে সিরিয়াল দেখতে ব্যস্ত। কথা বলতেই চাইলেন না। চাপাচাপির পর জানালেন তিনি কিছু বলবেন না। যা বলার জানাবেন সিএমওএইচ
 
স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য অবশ্য সরব গোটা ঘটনা নিয়ে। যদিও তাঁর দাবি তাঁদের কোন কথাই শোনা হয় না। নিজের ইচ্ছেমত ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতাল চালায় প্রশাসন। চিকিৎসকরা নিজের বাড়িতে বসেই রোগী দেখেন। ,মোদ্দা কথা অব্যবস্থার চরম চলছে হাসপাতালে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বাস্থ্যসাথী ফেইল। ব্যর্থ হাসপাতালের পরিষেবা। বহাল তবিয়তে সরকারি পরিকাঠামো ব্যবহার করে, চলে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা। তাঁরাও এগিয়ে আসেননি। চিকিৎসা ছাড়া বাকি সব কিছুই হয় ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতাল। জানাচ্ছেন খোদ পঞ্চায়েত সদস্য। আর টাকা না দিলে এখানে চিকিৎসার সুবিধা মেলে না। তাও জানিয়ে দিয়েছেন পঞ্চায়েত সদস্য।

আসলে মৃত্যু এখানে সহজলভ্য। টাকা না থাকলে চিকিৎসা নেই। দুয়ারে মৃত্যু প্রতিদিন। আদিবাসী জনমজুর পরিবার কাউকে দোষ দেন না। নিজের কপালকে ছাড়া।

 

 

 

Tags:

Madhyom

bangla news

Bengali news

Death

Bhatar

Burdwan

Money

Patient

ambulance

Road

burdwan news

bhatar patient

burdwan hospital

bhatar bmoh

bhatar hospital

bhatar patient death

no money

patient death

patient death on the road

patient death on road

burdwan bhatar patient death

burdwan patient death

death on road

death in road

responsible

who is responsible

no money no ambulance

bhatar patient died

patient died

patient died on the road

on the road


আরও খবর


ছবিতে খবর