অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বিশ্বজ্যোতিকে কেন দিল্লিতে তলব ইডির?
ঐ যে লোকটি হেঁটে আসছেন উনি বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। বীরভূমের বাঘ অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ। এমনিতে খুব বলিয়ে কইয়ে। সব বিষয়ে তাঁর একটা মতামত থাকে। বাঘের কাছে যাওয়ার আগে ফেউয়ের কাছে ভেট জুগিয়ে যেতে হয়। কিন্তু এখন বোলতি বন্ধ।
অ্যাম্বিয়েন্সঃ (সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসা, কোন কথা না বলে চলে যাওয়া)
বোলপুরে সিবিআই অস্থায়ী ক্যাম্পে ঢুকতে বেরতে সাংবাদিককের কোন প্রশ্নেরই কোন জবাব দেননি বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়।
এর আগে ৩১ অগাস্ট, এই বিশ্বজ্যোতির বাড়িতে তল্লাশি করে সিবিআই। অনুব্রত গ্রেফতারের পর যে ১৭টা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গেছিল, তাঁর মধ্যে বিশ্বজ্যোতির অ্যাকাউন্টও রয়েছে। গরু পাচারের বিপুল পরিমাণ টাকা ঐ আকাউন্টে ঢুকেছে বলে দাবি সিবিআইয়ের। সিবিআই-এর দাবি, বিশ্বজ্যোতির অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা ঢুকেছে অনুব্রত মণ্ডলের কোম্পানিতে, সেই সংক্রান্ত নথিও হাতে পেয়েছে সিবিআই। ২০১১ সালে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে পরিচারকের কাজ করত বিশ্বজ্যোতি। মাসিক বেতন ছিল ৫ হাজার টাকা। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর হন বিশ্বজ্যোতি। গরুপাচার মামলায় তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে বলে দাবি সিবিআই। চার্জশিটে এক্তহা উল্লে ৩৬লক্ষ টাকা এল কি করে? ঐ প্রশ্নে তাঁকে এবার দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি। সোমবার এই সংক্রান্ত নোটিশও পাঠানো হয়েছে।
ইডির দাবি এই বিপুল পরিমাণ টাকা গরু পাচারের। অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের নির্দেশে বিশ্বজ্যোতির অ্যাকাউন্ট হয়ে সেই টাকা ঢুকত অনুব্রতর কোম্পানি চালকল, বকলমে চালানো মেডিকেল কলেজগুলোতে। যেখানে যেখানে অনুব্রত বিনিয়োগ হত সেখানে যেত এই টাকা। ইতিমধ্যে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন এখন দিল্লির তিহার জেলে।তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ইডি। দিল্লিতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যাকেও। ইডি সূত্রে জানা গেছে জেরায় মুখ খুলছেন সুকন্যা। এবার বিশ্বজ্যোতিকেও দিল্লি অফিসে নিয়ে গিয়ে জেরা করতে চায় ইডি।
আরও একজনকে ডেকে পাঠিয়েছিল সিবিআই। তিনি বীরভূমের বিখ্যাত লটারি ডিলার। কিভাবে মুখ্যমন্ত্রীর বীরভূমের বাঘের নামে নিয়ম করে ডিয়ার লটারির টাকা ওঠে সে সম্পর্কে জানতে।
যদিও লটারি ডিলার জানিয়েছেন, তাঁর বিক্রি টিকিটে অনুব্রত মণ্ডল বা তাঁর মেয়ের নামে টাকা ওঠেনি। টাকা উঠেছে অন্য এক ডিলারের বিক্রি করা টাকায়। আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। কথার মাঝখানেই বললেন লটারি ডিলার। তিনি আগে বীরভূমের একনম্বর ডিলার থাকলেও বেশ কিছুদিন হল তাঁর বাজার পড়ে গেছে। এখন এক নম্বর ঐ বিক্রেতা।
তাহলে কি লটারির প্রাইজ পেতেও দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছিলেন অনুব্রত আর তাঁর পরিবার। কারণ এও টাকা সাদা করার নতুন প্রক্রিয়া। কালো টাকার ওয়াশিং মেশিন।
Tags:
Madhyom
bangla news
Bengali news
Anubrata
Cattle smuggling case
Cattle smuggling
Cattle smuggling scam
Cow smuggling
cow smuggling case
anubrata mandal cbi
anubrata cow smuggling
anubrata mondal cbi
cattle smuggling in west bengal
Anubrata Mondal cattle smuggling
anubrata mandal tmc
anubrata mondal tmc
anubrata news
cbi anubrata
Bangla khabor
anubrata update
cattle smuggling cbi
bengal cattle smuggling scam
west bengal cattle smuggling case
anubrata mondal close aide
anubrata tmc
tmc anubrata
anubrata mondol
Anubrata's Close Aide Biswajyoti
Biswajyoti Close Aide of Anubrata
Anubrata Aide Biswajyoti
biswajyoti banerjee
cbi detains biswajyoti banerjee
cbi arrests biswajyoti banerjee
tmc councillor biswajit banerjee
ED summoned Biswajyoti
ED summoned
biswajyoti summoned by ED
ed delhi office
delhi ed office