কোন নেতাকে বাঁচাতে CID-র FIR-এ গরুপাচার তদন্তের অফিসার?
লালন শেখ মামলায় বড় ট্যুইস্ট। সিবিআই হেফাজতে বগটুই কান্ডের মূল অভিযুক্ত, লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এফআইআর-এ নাম রয়েছে, সিবিআইয়ের ডিআইজি এবং এসপি সহ মোট ৭ জনের নাম। সেই এফআইআরের কপি মাধ্যমের হাতে।
FIR-এ সই রয়েছে, লালন শেখের স্ত্রী রেশমা বিবির। কিন্তু অনেকগুলো প্রশ্ন তুলে দিয়েছে এই এফআইআর।
FIR-এ সাত জনের মধ্যে নাম রয়েছে সুশান্ত ভট্টাচার্য নামে এক সিবিআই আধিকারিকের। কে এই অফিসার? যিনি গরু পাচার কাণ্ডের আইও বা তদন্তকারী অফিসার। যিনি গরু পাচার কাণ্ডে গ্রেফতার করেছিলেন বীরভূমের তৃণমূলের বীর অনুব্রত মণ্ডলকে। তারপরেই একের পর এক তদন্তে উঠে আসতে থাকে, অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের নাম। জানা যায় কিভাবে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি বানিয়েছিলেন অনুব্রত সহ তাঁর ঘনিষ্ঠরা। যেখানে নাম জড়িয়ে যায়, তৃণমূলের ওপরতলার অনেকের নাম। সিবি আইয়ের দাবি,এই টাকার সিংহভাগ বখরা পেতেন তৃণমূলের শীর্ষনেতারা। আরও বড় বিষয় হল, যে গরু পাচার কাণ্ডে লালন শেখ বা বড় লালনের কোন সম্পর্ক অন্তত সিবিআই তদন্তে কখনও উঠে আসেনি। তাহলে প্রশ্ন হল গরুপাচার কাণ্ডের তদন্তকারী সিবিআই অফিসারের নাম কিভাবে এল রাজ্য পুলিশের FIR-এ? কিভাবে লালন শেখের স্ত্রী নাম জানল গরুপাচার কাণ্ডের তদন্তকারী অফিসার সুশান্ত ভট্টাচার্যের নাম? তাহলে রাজ্যের গোয়েন্দা দফতরের ইঙ্গিতেই এফআইআর?
ঘটনার দিন রাতেই রামপুরহাটের সিবিআই-এর অস্থায়ী ক্যাম্পে আসেন পুলিশ কর্তা। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছিলেন, প্রয়োজনীয় তদন্ত করতেই এসেছেন তিনি।
তারপরেই এই FIR! FIR-এ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় খুন, তোলাবাজির অভিযোগসহ একাধিক ধারায় মামলা করা হয়েছে সিবিআইয়ের ডিআইজি এবং এএসপিসহ মোট ৭ জনের নামে। কিন্তু এই সাতে নাম নেই,বগটুই কাণ্ডের তদন্তকারী অফিসার বা আই ও-র। প্রশ্ন দুই, সেটাই বা কি করে সম্ভব?
বগটুই কাণ্ডে ১০ জনকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার অভিযোগে অভিযুক্ত লালন শেখ ঘটনার পর থেকেই পলাতক। খুলে নেওয়া হয়েছিল সিসিটিভির হার্ড ডিস্ক! যে হার্ড ডিস্কের মধ্যেই ধরা সেই রাতে ঠিক কি ঘটনা ঘটেছিল বগটুইতে। কারণ ঐ সিসি ক্যামেরাই একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী বগটুইয়ের ভয়ংকর রাতের। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর, এই ডিসেম্বরেই লালন শেখকে পাকুর থেকে গ্রেফতার করে সিবিআই। পুলিশ প্রশাসন সিআইডি সিবিআইয়ের নাকের ডগায় কেন লুকিয়ে ছিলেন লালন? তিনি কি জানতেন তাঁর নিরাপত্তার ব্যবস্থা হচ্ছে? রামপুরহাটের নাকের ডগায় পাকুর। দূরত্ব মাত্র ৬০ কিলোমিটার।
শিশুসহ ১০ জনকে পুড়িয়ে মারার অভিযুক্তের অস্বাভাবিক মৃত্যুর দায় সিবিয়াই এড়াতে পারে না। তাঁদের গাফিলতি অপেশাদারিত্বের উদাহরণ হয়ে রইল লালন শেখের মৃত্যু। কিন্তু ঐ মৃত্যুকে ঘিরে যেভাবে সংঘটিত আন্দোলন সিবিয়াইএর বিরুদ্ধে হচ্ছে তাঁর পিছনে কি রাজ্যের শাসক দলের হাত? স্থানীয় মানুষের জিজ্ঞাসা, এমন সাজানো পোস্টার ব্যানার হাতে শয়ে শয়ে লোকজনকে সিবিয়াইএর অস্থায়ী ক্যাম্প ঘেরাও করাচ্ছেন কারা? কাকে বাঁচাতে শাসক দলের এই উদ্যোগ? গরুপাচার কাণ্ডের আইও-র ওপর চাপ বাড়াতে চাইছে রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি? যার মাথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং!
কে সেই তৃণমূলের শীর্ষনেতা? যাকে বাঁচাতে এতটাই বেপরোয়া রাজ্য পুলিশ আর সিআইডি?
ইতিমধ্যেই এফ আই আর বাতিলের দাবিতে কলকাতা আদালতের শরণাপন্ন সিবিআই।
-----হাইকোর্টের নির্দেশ
সিবিআই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কোন কড়া পদক্ষেপ নিতে পারবে না সিআইডি
গোটা তদন্ত প্রক্রিয়া ভিডিওগ্রাফি করতে হবে সিআইডিকে
মামলায় পার্টি করতে হবে, লালন শেখের স্ত্রী রেশমা বিবিকে
হাইকোর্টের পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত তদন্ত রিপোর্ট পেশ করতে পারবে না সিআইডি
তবে লালন শেখের সিবিআই হেফাজতে অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্ত চলাতে পারবে সিআইডি
Tags:
cbi
Madhyom
tmc
CID
bangla news
Bengali news
bogtui
FIR
Lalan sheikh
Bagtui Case
Lalan Sheikh death
Bogtui Case
lalan seikh death
bogtui case update
bogtui case update news
bogtui violence
bogtui news
lalan sheikh death case
lalan sheikh dead cbi custody
bogtui carnage prime accused lalan sheikh
Cow smuggling Investigating Officer under scanner
cid's fir to save
io of cow smuggling case
investigating officer of cow smuggling case
leader to save
save the leader
save the tmc leader
Investigation officer
investigation officer of cow smuggling case