ANUBRATA_SAIGAL
৭ দিনের সিবিআই হেফাজত হল অনুব্রত মণ্ডলের ব্যক্তিগত দেহরক্ষী সাইগল হোসেনের। তবে এই সাত দিনে সাইগল হোসেনকে জেরা করার সময় উপস্থিত থাকতে পারবেন তার আইনজীবীরা। সাইগলের আইনজীবীদের দাবি ছিল, যে প্রক্রিয়ায় সাইগলকে গ্রেফতার করা হয়েছে তা আইনবিরুদ্ধ। ভারতীয় পেনাল কোডের ১৬০ ধারায় সাক্ষী হিসেবে ডেকে ৪১ নম্বর ধারায় কাউকে অপরাধী সাব্যস্ত করা যায় না। উল্টোদিকে সিবিআই আইনজীবীদের বক্তব্য, গত এগার বছরে যে হারে সম্পত্তি বেড়েছে একজন সাধারণ ব্যক্তিগত দেহরক্ষীর পক্ষে অসম্ভব। সে কারণেই সাইগলকে বাইরে ছেড়ে রাখা যাবে না। সায়গাল হোসেনকে সিবিআই গ্রেপ্তার করেছে গরু পাচার মামলায়। এই মামলায় প্রথম থেকেই সিবিআইয়ের নজরে ছিলেন সায়গল। এই মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে যাওয়ার পর থেকে একাধিকবার তাকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেইমতো বৃহস্পতিবারও তাকে তলব করে সিবিআই। গত বুধবার সিবিআই যায়,সাইগলের ডোমকলের বেশ কিছু নথিও বাজেয়াপ্ত করে। এবার দেখে নিন সাইগল হোসেনের সম্পত্তির একাংশ। সম্প্রতি ডোমকল পৌরসভার ১০নং ওয়ার্ড এর মালিথা পাড়া এলাকায় প্রায় ৬বিঘার কিছু বেশি জমি কেনেন সাইগল। যার আনুমানিক বাজার মূল্য কয়েক কোটি টাকা। প্রায় ৮মাস আগে এই সম্পত্তি কেনে বলে দাবি এলাকাবাসী। সেহেগল ডোমকল অঞ্চলে ববিন বলে পরিচিত। কি করে এমন বিপুল সম্পত্তির মালিক হল সাইগল বা ববিন তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সিবিআই আইনজীবীরা। সাইগেল হোসেনের বিরুদ্ধে ১২০ বি ধারায় অর্থাৎ অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র ও সরকারি কর্মীর দুর্নীতির ধারা দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী শুনানি ১৭ই জুন।