শৌর্য চক্র জয়ী বাঙালিতে অ্যালার্জি মুখ্যমন্ত্রীর?
ইনি দিলীপ মালিক। এবছরই রাষ্ট্রপতির হাত থেকে নিয়েছেন শৌর্য চক্র সম্মান। কিন্তু এই শৌর্য চক্র বিজেতাই উপেক্ষিত বাংলায়। বলা ভালো মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে দু দুবার চিঠি দিয়েছেন তিনি। কিন্তু এখনও কোনও সাড়া পাননি। চিঠিতে শৌর্য চক্র বিজেতা লিখেছেন, ব্যক্তিগত কিছু বিষয় তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে জানাতে চান, যাতে সমাজের সব শ্রেণিই উপকৃত হবে। কিন্তু কোনও এক অজ্ঞাত কারণে এই চিঠির উত্তর দেওয়া হয়নি নবান্ন থেকে।
সিআরপিএফের বেঙ্গল সেক্টরের ডেপুটি কমান্ড্যান্ট পদে রয়েছেন দিলীপ মালিক। বাড়ি হুগলির জগন্নাথপুরে। টানা ৩০ বছরের কর্মজীবনের বেশিরভাগটাই কেটেছে নকশাল প্রভাবিত ছত্তীশগড়, বিহার, ঝাড়খন্ডে কাজ করে। তাঁর আমলে বাংলায় ২১ জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করে। বিহারেও শতাধিক মাওবাদীর আত্মসমর্পণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন দিলীপ মালিক। কিষেণজির এনকাউন্টারের ক্ষেত্রেও তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। বিহারে কোবরা ব্যাটেলিয়নে থাকার সময় চার জন মাওবাদীকে এনকাউন্টারে খতম করেছিলেন তিনি। কর্মক্ষেত্রে সাহসকিতার জন্য একাধিক সম্মান লাভ করেন দিলীপ মালিক। পেয়েছেন বহু মেডেল। এহেন শৌর্য চক্র বিজেতা দেখা করতে চাইলেও মুখ্যমন্ত্রী বারবার এড়িয়ে যাচ্ছেন কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। অনেকেই বলছেন, মাওবাদী প্রশ্নে অস্বস্তি এড়াতেই এই কৌশল মুখ্যমন্ত্রীর।