'গণতন্ত্র কোথায়?' বিচার বিভাগকে প্রশ্ন মমতার, জবাব দিলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের "গণতন্ত্র কই?" জিজ্ঞাসার জবাব দিলেন দেশের আইনমন্ত্রী কিরণ রিজিজু। ট্যুইটে দেশের আইনমন্ত্রীর কটাক্ষঃ
"মমতা দিদি পশ্চিমবঙ্গ সম্পর্কে সত্য বলছেন। কারণ টিএমসি পার্টির বিচার বিভাগের প্রতি সম্মান নেই, এবং বিচারকদের প্রতি শ্রদ্ধা নেই। তারা "আইনের শাসন" কেড়ে নিয়ে 'টিএমসি শাসনে আইন' প্রতিষ্ঠা করেছে। আর পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র রক্তাক্ত,কাঁদছে।"
রবিবার ওয়েস্ট বেঙ্গল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ জুরিডিকাল সায়েন্সেসের সমাবর্তনে, দেশের প্রধান বিচারপতি, কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ও বাংলাদেশের প্রধানবিচারপতির সামনে দাঁড়িয়ে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর জিজ্ঞাসা ছিল, "গণতন্ত্র কই?" তাও আবার বিচারব্যবস্থার কাছে। যে বিচারব্যবস্থাকে,১০ বছর আগে স্বয়ং বিধানসভায় দাঁড়িয়ে, চমকানোর কথা বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মুখ্যমন্ত্রী মমতার গলায় এখন গণতন্ত্র বাঁচানোর ডাক।
কিন্তু কেন এই আর্তনাদ? বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। একের পর এক দুর্নীতিতে তার দলের আর মন্ত্রীসভার একাধিক নেতা মন্ত্রী বিধায়ক শিক্ষা আধিকারিকরা এখন জেলে। প্রতিদিন তাঁদের নতুন নতুন কীর্তি কাহিনী উদ্ধার করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি। নিত্যদিন হাইকোর্টের রায়ে উন্মুক্ত হচ্ছে তৃণমূল সরকার আর দলের প্রকৃত নির্লজ্জ চেহারা। সেই কারণেই সরকার ও দলের সঙ্গে নিজের সম্মান আর ইজ্জতের প্রশ্নও তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
কারা মুখ্যমন্ত্রীর সম্মান নষ্ট করছে? দলের নেতা, বিধায়ক না মন্ত্রী? মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জানিয়েছেন, মিডিয়া। গণমাধ্যম। মমতার দাবি,মিডিয়া ট্রায়াল চলছে,তার বিরুদ্ধে। ইডি-সিবিআইয়ের তদন্তে যখন তৃণমূলের নেতা কর্মী বিধায়ক মন্ত্রীদের দুর্নিবার চুরি আর লুঠ জনসমক্ষে প্রকাশিত। প্রকাশ্যে তাঁর নেতা মন্ত্রী বিধায়কদের চোর বলছেন সাধারণ মানুষ সেটা তুলে ধরা নাকি মিডিয়া ট্রায়াল!একের পর এক নেতার আয় বহির্ভূত বিপুল সম্পত্তির খবর করার অর্থ, বিচার ব্যবস্থাকে কন্ট্রোল করা। ঠিক সেই কথাই বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। দেশের রাজ্যের প্রধান বিচারপতির সামনে।
রবিবারই মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন বিরোধীরা।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “বাংলার মানুষ তার 11 বছরের শাসনে দেখেছে কীভাবে এখানে প্রতিটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং ব্যবস্থা হাইজ্যাক করা হয়েছে"
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি,সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেন, মমতা বিচারব্যবস্থার ওপর পরোক্ষে চাপ তৈরি করতে চাইছেন"
সিপিআইএম রাজ্যসভার সাংসদ আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, আমি চেষ্টা করেও বুঝতে পারছি না উনি কি বলতে চাইছেন। বিচার বিভাগ ওনার দুর্নীতির বিরুদ্ধে কাজ করে আইনের শাসনই প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। উনি (মুখ্যমন্ত্রী) দাবি করতে পারেন না যে তাকে কোথাও অবজ্ঞা করা হয়েছে। কারণ দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিচারবিভাগের যা করা উচিত তাই করছে।"
মাত্র ১০ বছর আগে, রাজ্য বিধানসভার ৭৫ তম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে,গণতন্ত্রের নামে বিচার ব্যবস্থাকে নজিরবিহীন আক্রমণ করে বলেছিলেন,
"কেন আদালতের রায় কেনা যাবে?"
একদিন পরেই মহাকরণে দাঁড়িয়ে উদ্ধত ভাবে জানিয়েছিলেন,
"যা বলেছি ঠিক বলেছি, আবার বলব"
আর তার দুর্নীতি সামনে আসতেই, এক দশকের মধ্যেই আর্তনাদ শোনা যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। প্রশ্ন করছেন সেই বিচারব্যবস্থাকেই। জানতে চাইছেন, "গণতন্ত্র কই?"
Tags:
Mamata Banerjee
CM Mamata
Madhyom
tmc
Kiren Rijiju
CM Mamata Banerjee
Mamata
bangla news
Bengali news
mamata banerjee latest news
mamata banerjee speech
mamata banerjee news
mamta banerjee
democracy
mamata banerjee latest
Bangla khabor
bengal cm mamata banerjee
west bengal cm mamata banerjee
mamata didi
mamata news
mamata banerjee interview
union law minister kiren rijiju
new law minister of india
law minister
union law minister
kiren rijiju law minister
latest news india
law minister of bihar
new minister of law
new law minister india
law minister speech at the judicial conference
new minister of law and justice
kiren rijiju reaction
kiren rijiju on corruption
Law minister on Mamata
law minister on CM mamata
Law minister Reacts on mamata
Judiciary
Democracy in West Bengal
Union Law Minister Responds
Indian Judiciary
mamata democracy
Where is Democracy
Responds
Mamata asked Judiciary
Union Law Minister responds mamata
Kiren Rijiju union law minister
Indian Law Minister
Law minister Responds on Democracy
Democracy Mamata
Union Law Minister Responds on behalf of judiciary
west bengal democracy
latest mamata
latest union law minister
Kiren Rijiju central law minister