দুর্নীতি, তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বে সরগরম রামপুরহাট
দলের বিরুদ্ধে ফেসবুকে তৃণমূল নেতার পোষ্ট এবং পাল্টা পোষ্টকে ঘিরে সরগরম রামপুরহাট শহর। আপাতত দুজনেই পোষ্ট তুলে নিলেও তাদের পোষ্ট ঘুরে বেড়াচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
এই সেই পোস্ট। আগে জেনেনি এরা কারা?
ইনি পান্থ দাস। রামপুরহাট ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি। নিজের ফেসবুকে লিখেছিলেন, "গর্বিত আমি ছাত্র অবস্থায় হাতে খড়ি স্যারের মাধ্যমে। ভাইপো কত লুটের মালিক এটাও বড্ড জানতে ইচ্ছে হয়।"
ভাইপোতে এসে ঠেক খায় সকলে। এ আবার কোন ভাইপো? সকলের মনে যখন এমন প্রশ্ন ঠিক তখন আরেক ফেসবুক পোস্ট
পাল্টা পোস্টঃ "আমি মুখ খুললে অনেকের প্যান্ট খুলে যাবে...। দয়া করে মুখ খুলতে বাধ্য করবেন না”
পোস্টদাতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, দাঁড়ান দাঁড়ান। ইনি অন্য অভিষেক! এবং এই অভিষেকও ভাইপো। যদিও পিসির নয়। রামপুরহাটের কাকুর। নাম আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার। অতএব বোঝাই যাচ্ছে, পান্থ দাসের টার্গেট ভাইপো অভিষেক। লড়াইটা আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছাত্র বনাম ভাইপোর।
তবে গল্পের এখানে শেষ নয়। আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেকের পোস্টের পরদিনই রামপুরহাটে ঘুরতে শুরু করে এক ফোন বার্তা। রামপুরহাটের লোকজনের দাবি, কথোপকথনটি পান্থ দাস আর আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের ড্রাইভারের মধ্যে। এখান থেকেই পরিষ্কার রামপুরহাট বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর ভাইপোকে নিয়েই ফেসবুক তরজা।
এরপর দুজনেই ফেসবুক পোস্ট তুলে নেন। ভুল স্বীকার করে পালটা পোস্ট দেন পান্থবাবু।
"আমার রাজনৈতিক জীবনে স্যার শুরু, স্যারই শেষ। ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি যদি অচেতন মনে কিছু ভুল মন্তব্য করে থাকি"
যদিও সংবাদ মাধ্যমে কিছু বলতে চাননি পান্থ দাস। মুখ খোলেননি মাস্টারমশাই আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তবে সংবাদ মাধ্যমেই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছেন ভাইপো অভিষেক।
গল্পের অন্তরাতেও একটা সুইট টার্ন আছে। ক্লাইম্যাক্সও বলতে পারেন।
আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, বলেন “ওটা একটা জোক। আমি কাউকে উদ্দেশ্য করে বলিনি”
কি ঠাট্টা! এতবড় ঠাট্টা? মুখ খুললে প্যান্ট খুলে যাওয়ার মত ঠাট্টা? তবে রামপুরহাটের মানুষ বলছেন এসব জোক মানে ঠাট্টা নয়। একটা চন্দ্রবিন্দু বসবে, জোকের মাথায়। আসলে জোঁকের মুখে লবণ পড়েছে।
দুর্নীতি, ভাইপো, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় TMC-র অন্তর্দন্দ্বে সরগরম রামপুরহাট।