WhatsApp_Image_2023-04-11_at_1729.45
কেজিতে খুব বেশি হলে পাঁচ থেকে ছয়টা ওঠে। তার দামই প্রায় চোদ্দশ টাকা। তাও কলকাতার বিখ্যাত মাছ বাজারে মিলবে না। বেশির ভাগই চলে যাচ্ছে বিদেশের বাজারে। চিন হংকং, থাইল্যান্ড সিঙ্গাপুর মালয়েশিয়া সহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে যেমন যাচ্ছে, তেমনি সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে ইউরোপের বাজারে যাত্রা। সুন্দরবনের কাঁকড়ার বিদেশ যাত্রা বাড়ছে। কোভিডের সময় সুন্দরবনের কাঁকড়ার বিদেশ যাত্রা থমকে গেলেও ফের পুরো দমে শুরু হয়েছে রফতানি। আসছে বিদেশি মুদ্রাও। তবে তা পৌছাছে না সুন্দরবনের কাঁকড়া শিকারিদের কাছে। তাঁদের অবস্থার কোন পরিবর্তন হয়নি। তাঁরা রয়ে গেছেন সেই তিমিরেই
মধু আর মাছের জন্য জীবন বাজি রেখে, সুন্দরবনের খাঁড়িতে জীবিকার সন্ধানে যান সুন্দরবনের মানুষ, অসংখ্য নদী মিশেছে মোহনায়। মিষ্টি আর নোনা জলের ঐ আশ্চর্য মিশেলে বাড়ে সুন্দরবনের মাড ক্র্যাব বা মাটির কাঁকড়া। নদীর তীরে গর্ত করে বাসা বানায়। ঐ গর্ত দেখে চিনতে হতয় কাঁকড়া শিকারিদের। কেউ কেউ নদীতে ঝুড়ি আর সুতোর ফাঁদ পেতে ধরেন কাঁকড়া। এও আরেক জীবন। মাড ক্রাবের বিভিন্ন গ্রেডেশন হয় কাঁকড়া আড়তে। পুরুষ কাঁকড়ার চাহিদা বেশি তার বড় দাঁড়ার জন্য। আর মেয়ে কাঁকড়ার চাহিদা বেশি তার মগজের ঘিলুর আর ডিমের জন্য।
আড়তের মধ্যে বিভিন্ন গ্রেডের কাঁকড়া বিভিন্ন ঝুড়িতে বাঁটোয়ারা করে চলে যায় শহরে। শুরুতে বলেছিলাম না মাত্র পাঁচ ছটা কাকড়ায় এক কেজি পেরিয়ে যায়। কপাল ভাল থাকলে চার কাঁকড়ায় কেজি মেলে। তখনও বিক্রির দামও বেশি মেলে। পাইকারি দামই ওঠে কেজিতে চোদ্দশ টাকা। বিদেশ ছাড়াও অন্যান্য রাজ্যেও সাপ্লাই হচ্ছে কাঁকড়া। কিন্তু এখনও কেউ বুঝে উঠতে পারছে না সুন্দনবনের কাঁকড়ার স্বাদ রহস্য।
তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন,মোহ্না থেকে উজানে যাওয়ার পথেই ধরা পরে কাঁকড়া। তার মানে নোনা থেকে আর মিষ্টি জলের স্রোত্ব ক্রমাগত সাঁতার আর ক্রলিঙ্গের কারণে সবচেয়ে স্বাদু কাঁকড়া মেলে সুন্দরবনেই।