রাজ্যে হামাগুড়ি সরকার চলছে?
চাকরিপ্রার্থীদের হামাগুড়ি, কর্মচারীদের হামাগুড়ি। রাজ্য়ে যেন চলছে এক হামাগুড়ি সরকার। টানা ৭৬৮ দিন অবস্থানের পরেও সরকার কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায়, এদিন রাজভবন অভিযান করেন এসএসসি চাকরিপ্রার্থীরা। শহিদ মিনার প্রাঙ্গন থেকে হামাগুড়ি দিয়ে তাঁরা রাজভবনের দিকে রওনা দেন। তবে ১৪৪ ধারা জারির অজুহাতে, ওই মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। পরে একটি প্রতিনিধি দলকে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য যেতে দেওয়া হয়। চাকরিপ্রার্থীরা দাবি পেশ করেছেন। তবে নবান্নের জট কাটিয়ে কবে তাঁরা সুদিন দেখবেন, তা আপাতত মেঘে ঢাকাই থাকছে। যেমন মেঘে ঢাকা পড়ে আছে সরকারি কর্মীদের ডিএ-র দাবি। এদিন নবান্নে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে মুখ্যসচিবের বৈঠক হয়। কিন্তু বৈঠক থেকে বেরিয়ে সংগ্রামী যৌথমঞ্চের প্রতিনিধিরা জানান, বৈঠকের নিটফল জিরো। কোষাগারে টাকা না থাকার অজুহাত দেখিয়ে, ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে আন্দোলনকারীদের। প্রতিবাদে ৬ মে কলকাতায় মহামিছিলের ডাক দিয়েছে সংগ্রামী যৌথমঞ্চ। সরকারি অফিসে লাগাতার ধর্মঘটেরও হুমকি দিয়েছে তারা।
আদালত বলেছে, তাই বৈঠকে বসেছে। এই সরকারের কোষাগারে টাকা নেই। ডিএ দেওয়ার সদিচ্ছাও নেই। বৈঠক নিয়ে মন্তব্য রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। হকের ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন চলছে। মুখ ফিরোচ্ছে সরকার। ন্যায্য বিচারের দাবিতে বছরের পর বছর চাকরি প্রার্থীরা আন্দোলন চালাচ্ছেন। কিন্তু মুখ ফিরিয়ে বসে আছে সরকার। দুর্নীতির নাগপাশে জড়িয়ে সরকার চালানোর যোগ্যতাই যেন হারিয়েছে মমতা সরকার। সবকিছু দেকে তাই প্রশ্ন উঠছে, পশ্চিমবঙ্গে কি তবে একটা হামাগুড়ি দেওয়া সরকার চলছে?