সিউড়ি-শিয়ালদা নতুন ট্রেন রুট
সিউড়ি থেকে হাওড়া। দূরত্ব মাত্র ২৪০ কিলোমিটার। গাড়িতে এলে সময় লাগে ৪ ঘন্টা, আর ট্রেনে সাড়ে চার ঘন্টা। বীরভূমের জেলা সদর থেকে কলকাতা। নিত্য যাতায়াতের কোন সুবিধা নেই।
বীরভূমবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি, সিউড়ি কলকাতা মধ্যে একজোড়া ট্রেনের। যাতে অফিস করে বাড়ি ফিরতে অসুবিধা না হয়। এত দিন দাবি জানিয়েও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এবার হয়তো আশার আলো দেখতে পাবেন সিঊড়িবাসী। কারণ মাস খানেকের মধ্যে, কলকাতায় আসার আরও একটি ট্রেন পেতে চলেছেন সিউড়িবাসী।
সিউড়ি থেকে শিয়ালদা ট্রেন দীর্ঘদিনের দাবি সিউড়িবাসীর। ১৯৮২-১৯৮৪। রেলমন্ত্রকের দায়িত্বে তখন গনি খান চৌধুরি। চালু হয়েছিল ময়ূরাক্ষী ফাস্ট প্যাসেঞ্জার। সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কিছুটা কমলেও সমস্যার সুরাহা হয়নি। জেলা সদর সিউড়ি থেকে কলকাতা নিত্য যাতায়াতকারীদের বেহাল দফা। কারণ ট্রেনের সংখ্যা আর বাড়েনি। বার বার দাবি রেলমন্ত্রকে দাবি জানিয়েও কোন লাভ হয়নি। হুল আর ময়ূরাক্ষী ছাড়া কলকাতা আসতে পারেন না সিউড়িবাসীরা। সিউড়ি শিয়ালদা ট্রেন চালু হওয়ার খবরে খুশি নিত্যযাত্রীরা
বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় আরও দুটি দাবি জানিয়েছিলেন রেল মন্ত্রীর কাছে। এক দেউচাপাচামি সিউড়ি নতুন লাইন ও সিউড়িতে একটি রেলওয়ে সাইডিং তৈরি করা। ভারতীয় রেল জানিয়েছে দুটি কাজেরই সমীক্ষার কাজ শেষ। জমি পেলেই কাজ শুরু করতে প্রস্তুত ভারতীয় রেল।
রাজ্য সরকার এই ডাকে সাড়া দেয় কিনা সেটা সময় বলবে। তবে যে কাজটা করার জন্য তদবির করার কথা ছিল, স্থানীয় বিধায়ক বা সাংসদের। সেই কাজটা করছেন বিধানসভা নির্বাচনে হেরে যাওয়া বিজেপি প্রার্থী।